নিজস্ব প্রতিবেদক::চির নিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ সিলেটের চেয়ারম্যান, সাবেক গণপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তাঁকে সিলেট নগরীর মানিকপীরস্থ টিলায় দাফন করা হয়।এর আগে বেলা আড়াইটায় মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্টিত হয় নগরীর আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে। জানাযার নামাজের পূর্বে সেখানে সিলেটের প্রসাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।জানাযার নামাজে ইমামতি করেন সিলেটের বিশিষ্ট আলেম হযরত মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি।
এদিকে জুম্মার নামাজের পরপরই জানাযার স্থল আলিয়া মাঠে এক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাজার হাজার মানুষ অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের জানাযায় উপস্থিত হতে দেখা গেছে। আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকসহ দলের কেন্দ্রীয় ও সিলেটের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন, প্রশাসনসহ হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন জানাযার নামাজে।এরা আগে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় তাঁর মরদেহ সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নিয়ে আসলে এক আবেগঘন ও শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
সিলেটের বর্ষিয়ান এ রাজনীতিবিদকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন সবাই।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে হওয়া গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে লুৎফর রহমানের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের। এছাড়াও সাধারণ মানুষজন লুৎফুর রহমানের মরদেহবাহী কফিনে জানান ফুলেল শ্রদ্ধা। সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীসহ নানা পেশার মানুষ যোগ দেন শোকজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে। এ সময় শোক জানাতে আসা অনেক মানুষের পরনে ছিল শোকের প্রতীক কালো পাঞ্জাবি।সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের পাশাপাশি বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিনম্র শ্রদ্ধায় তার কফিনে ফুল দিয়ে শোক জানান। উপস্থিত বক্তব্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আগত নেতাকর্মীরা বলেন, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের মতো প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদকে হারানো সিলেটের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতির বিষয়। তাঁর অভাব সহসাই পুরণ হওয়ার নয়।