ডেস্ক রিপোর্ট :: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় এক বিদেশগামী যাত্রীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রাসহ মূল্যবান জিনিস ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির বরখাস্তকৃত এসআই আকসাদুর জামানকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি জানান, বুধবার রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির উত্তরা বিভাগ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর ভোর পৌনে সাতটায় ভুক্তভোগী বিদেশগামী একজন টিকাটুলির বাসা থেকে সিএনজিযোগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য বের হন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কাওলা ফুট ওভার ব্রিজের নিচে পৌঁছলে একটি মাইক্রোবাস সিএনজিটির গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে দুইজন নেমে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ভুক্তভোগীকে তার লাগেজ সহ মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সঙ্গে থাকা ৫ হাজার ইউএস ডলার, ২ হাজার দেরহাম, ২ হাজার টাকা, ২টি মোবাইলসহ কাপড়চোপড় ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। সকাল ৯ টার দিকে রামপুর স্টাফ কোয়াটার্স এলাকায় ভুক্তভোগীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনার তদন্তে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যেখানে উঠে আসে এসআই আকসাদুরের নাম।
ডিবির একটি সূত্র জানায়, প্রথমে ডাকাতিতে জড়িত মাইক্রোবাসটি শনাক্ত করার পর তারা পুরো চক্রটির বিষয়ে জানতে পারেন। তখনই সিআইডি কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। পরে আসামিরাও জবানবন্দিতে এসআই আকসাদুরের কথা বলেন।
তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ সদর দপ্তর ও সিআইডিতে প্রতিবেদন পাঠায়। সিআইডি প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার জন্য আকসাদুরকে বরখাস্ত করে।
এ কে এম হাফিজুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হাসান রাজা, গাড়ি চালক হারুণ অর রশিদ ওরফে সজীব, অটোরিকশা চালক জোনাব আলী এবং কায়ছার মাহমুদ ওরফে জাকির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেই জবানবন্দি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সিআইডির ডেমরা জোনে কর্মরত এসআই আকসাদুরের নেতৃত্বে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকসাদুর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’ তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, জড়িত আরও একজন রয়েছেন, যিনি পলাতক রয়েছেন।