ডেস্ক রিপোর্ট::বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলাতে সাপ্তাহিক ছুটি পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বৃটিশ পত্রিকা দ্য টাইমস এবং অনলাইন আরব নিউজে প্রকাশিত খবরে এ তত্ত্ব বলা হয়েছে। সরকারি পর্যায় থেকে এর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্যদিবস ধরা হয় সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। অর্থাৎ সেখানে ছুটি শুরু হয় শুক্রবার থেকে। তাতেই পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। দ্য টাইমস এ নিয়ে রিপোর্ট করার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্প্রতি বেশ কিছু সংস্কার করেছে। এতে দেশটিতে বসবাসকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ অভিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এসব সংস্কারের মধ্যে অ্যালকোহল পানকে অপরাধ নয় বলে গণ্য করা হয়। তা ছাড়া বিয়ের আগে উভয়ের সম্মতিতে সহাবস্থান, যেটাকে লিভ টুগেদার বলে- তার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশটির প্রায় এক কোটি জনসংখ্যার মধ্যে শতকরা কমপক্ষে ৮০ ভাগ মানুষই অভিবাসী। তারা দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে গিয়েছেন। সেখানে এই গ্রীষ্মে পবিত্র রমজানের সময় রেস্তোরাঁ খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়। পশ্চিমাদের কাছে আকর্ষণের স্থান হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। দৃশ্যত তাদেরকে আকৃষ্ট করতে সাপ্তাহিক ছুটির বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকার এমন পরিবর্তনের কথা অস্বীকার করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা, বিতর্কে সয়লাব। তাতে বলা হচ্ছে, শুক্রবার হলো মুসলিমদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এদিন তারা সাপ্তাহিক জুমার নামাজ আদায় করেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রিত হন। এদিনে সরকারি কর্মজীবীদের জন্য অর্ধদিবস কর্মঘন্টা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ দিনকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম ডে’ বা বাসায় বসে কাজ করার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
সাপ্তাহিক ছুটি পরিবর্তন নিয়ে এমন সব আলোচনা দেশটিতে অনেকদিন ধরে চলছে। বলা হয়েছিল, পরিবর্তিত ছুটি মে মাস থেকে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম এমন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছিল। ডব্লিউএএমের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জালাল আল রইসি বিবৃতিতে বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে রিপোর্ট ছড়িয়ে পড়েছে, তা ভুয়া। সরকার এমন কোনো বিষয় ইস্যু করেনি। এ জাতীয় মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে লোকজনকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।