ডেস্ক রিপোর্ট:: পাবনার চাঞ্চল্যকর কালেক্টরেট স্কুলছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু (১৪) হত্যা মামলার রায়ে দীর্ঘ ৫ বছর পর আব্দুল হাদি (৩২) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় বুধবার বিকালে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় প্রদান করেন।
নিহত মিশু পাবনা শহরের শালগাড়িয়া কসাইপট্টি মহল্লার মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মহসিন আলম ছালামের ছেলে। সে পাবনা কলেক্টরেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হাদি পাবনা শহরের রাধানগর নারায়ণপুর মহল্লার আব্দুল করিমের ছেলে এবং জনতা ব্যাংক পাবনা শাখার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ পাবনা কালেক্টরেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এর কিছুক্ষণ পর মিশু একটি মোবাইল ফোন থেকে তার মাকে জানায়, সে তার বন্ধুদের সঙ্গে আছে বাড়ি ফিরতে দেরি হবে।
কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হলেও মিশু আর বাড়ি ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায় পাবনা শহরতলীর রামানন্দপুর নিঠুর লিচু বাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, মিশুর গলায় তার দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরদিন ২৪ মার্চ মিশুর বাবা মহসিন আলম ছালাম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার দিন মিশু যে মোবাইল নম্বর থেকে তার মাকে ফোন করেছিল পুলিশ ওই মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরেই তদন্ত করে এবং ৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট প্রদান করে। দীর্ঘ ৫ বছর পর বুধবার চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা হয়। আসামি আব্দুল হাদী হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়। এ সময় সাক্ষ্য প্রমাণে অন্যরা দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার ও তৌফিক ইমাম খান এবং সরকারপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সালমা আক্তার শিলু।