ডেস্ক রিপোর্ট:: দুর্বৃত্তদের দাওয়া খেয়ে প্রাণে বাঁচতে একটি ওষুধের দোকানের ভেতর আশ্রয় নেন গাড়িচালক খায়রুল ইসলামকে (২৭) ।কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার । দোকানের ভেতরে ঢুকে প্রকাশ্যে ওই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা-শেরপুর সড়কে কানুচগাড়ি এলাকায় গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত খায়রুল ইসলাম রংপুর শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়ায় চালাতেন।
এদিকে হত্যার ঘটনার পরপরই পুলিশ চয়ন (৩১) নামের খায়রুল ইসলামের এক সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। চয়নের বাড়ি শহরের নারুলী এলাকায়। তিনি ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ব্যক্তিগত গাড়িটি নিয়ে খায়রুল ও তাঁর সঙ্গী চয়ন শহরের কানুচগাড়ি এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুজন ব্যক্তি সেখানে এলে খায়রুলের সঙ্গে তারা বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তি খায়রুলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত করে।
এ সময় খায়রুল প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে সড়কের পাশে বি এইচ ফার্মেসি নামের একটি ওষুধের দোকানে ঢুকে পড়েন। দুর্বৃত্তরাও ওই দোকানে ঢুকে পড়ে। এরপর তারা খায়রুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খায়রুলকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, পূর্ববিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনো হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওষুধের দোকানের ভেতরে দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে ওই দোকানে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। তবে রাস্তার পাশের একটি প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে হামলাকারী দুজন ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এখনো হামলাকারীদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চয়ন জানিয়েছেন খায়রুল ইয়াবা আসক্ত ছিলেন। গতকাল ইয়াবা কেনার জন্যই খায়রুল ওই জায়গায় গিয়েছিলেন।