ডেস্ক রিপোর্ট:: দক্ষিণ সুদান ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে যা বিগত ৬০ বছরের মধ্যে সব থেকে ভয়াবহ, এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। ভয়াবহ এই বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ি করেছে জাতিসংঘ। দেশটিতে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি আরাফাত জামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশ সবথেকে ঝুঁকিতে রয়েছে তার প্রথম দিকে রয়েছে দক্ষিণ সুদান। এখানকার মানুষদের এমন একটি যুদ্ধ মোকাবিলার সম্মুখীন হচ্ছে যা তারা নিজেরা বেছে নেয়নি। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং এ সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এখনো বন্যায় নিহতের তথ্য তার কাছে জানা নেই।
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহ গুলোতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এতে লাখো মানুষের বাড়ি ও কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। মজুদ করা খাদ্য নষ্ট হয়ে গেছে। ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, দেশটিতে মূলত ৪ প্রদেশে সব থেকে বেশি বন্যা হয়। তবে দেশটির কিছু এলাকায় এবার যে বন্যা হয়েছে তা ১৯৬২ সালের পর সবথেকে ভয়াবহ।
তিনি বলেন, গবাদি পশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা আটকে পড়েছে এবং ডুবছে, কাদায় আটকে আছে এবং পশু গুলো বেঁচে থাকতে পারছে না। মানুষদের এখন শুধু ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। আবার অনেকেই বন্যা থেকে বাঁচতে দিনের পর দিন হাটছেন। দিন দিন ত্রাণের উপরে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনের দিনগুলোতেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান যে দক্ষিণ সুদানের সরকারের সাথে ইউএনএইচসিআর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করছে। এই সাহায্যের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধির প্রয়োজনীয় জিনিষ, খাবার, জরুরী আশ্রয় এবং আলো সরবরাহের জন্য সৌর লণ্ঠন।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ সুদানের মানুষের জন্য আরো অনেক সহায়তা প্রয়োজন। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের পুনর্গঠন এবং মানুষের জীবন-জীবিকা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন ।