1. admingusar@gmail.com : admingusar :
  2. crander@stand.com : :
  3. bnp786@gmail.com : editor :
  4. sylwebbd@gmail.com : mit :
  5. zia394@yahoo.com : Nurul Alam : Nurul Alam
  6. mrafiquealien@gmail.com : Rafique Ali : Rafique Ali
  7. sharuarprees@gmail.com : Sharuar : Mdg Sharuar
  8. cardgallary17@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

জকিগঞ্জে সিল মারা ব্যালট নিয়ে জালিয়াতি আটক উপজেলা নির্বাচন ও কৃষি কর্মকর্তা।

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২

ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটের জকিগঞ্জে ভোট জালিয়াতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন উপজেলা নির্বাচন ও কৃষি কর্মকর্তা। নৌকা মার্কার সিলমারা ব্যালট নিয়ে কেন্দ্রে হাজির হলে জনতার হাতে অবরুদ্ধ হওয়ার পর পুলিশ তাদের দু’জনকে আটক করে। খোদ নির্বাচনী কর্মকর্তার ভোট জালিয়াতির ঘটনায় বিকালে উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

 

এ ঘটনায় সিলেটে তোলপাড় চলছে। প্রার্থী ও ভোটাররা জানিয়েছেন- জকিগঞ্জের কাজলসার ইউনিয়নের চারটি কেন্দ্রে সকালে অর্ধেক ব্যালট দেয়া হয়। ওই সব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা সকালে কাজলসার ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের কাছে সব ভোটারের ব্যালট একসঙ্গে দেয়ার কথা বলেন। বাকি ব্যালট দুপুরের আগেই পৌঁছানো হবে বলে প্রিজাইডিং অফিসারকে আশ্বস্ত করেন আরিফুর রহমান। প্রিজাইডিং অফিসাররা জানিয়েছেন- অর্ধেক ব্যালট নিয়ে তারা সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু করেন।

চারটি কেন্দ্রেই বিপুলসংখ্যক নারী ও পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি থাকার কারণে বেলা ১১টার দিকে ব্যালট শেষ হয়ে যায়। ফলে ইউনিয়নের মরিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রসহ চারটি কেন্দ্রে ব্যালটের অভাবে ভোটগ্রহণ করা যাচ্ছিল না। কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা ভোটাররা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 

 

ব্যালট সংকট হওয়ার কারণে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট চেয়ে ফোন দেন। মরিচা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের ফোন পেয়ে দুপুরের পর ব্যালট নিয়ে গাড়িযোগে ওই কেন্দ্রে যান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান। তিনি গিয়ে ব্যালট কেন্দ্রে নিতে চাইলে উপস্থিত প্রার্থীর সমর্থকরা সেটি দেখতে চান।

 

 

এক পর্যায়ে প্রার্থীর সমর্থকরা ওই কেন্দ্রে আনা ৪শ’ ব্যালটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুলকার নাইন লস্করের নৌকা মার্কায় সিল মারা ৪শ’ ব্যালট দেখতে পান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান, মেম্বার প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। তারা এ সময় কেন্দ্রের সামনেই ওই নির্বাচনী কর্মকর্তাকে গাড়িসহ অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সেখানে যান উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিবও। তাকে দেখেও প্রার্থী ও সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গাড়ি তল্লাশি করেন। তখন ওই গাড়িতে কাজলসার ইউনিয়নের নৌকা মার্কার সিল মারা ৪শ’ ব্যালট,  মহিলা মেম্বারের ব্যালটের সিল মারা ৪শ’ ব্যালট এবং পার্শ্ববর্তী বারহাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের সিল বিহীন আরও ৪৫৬টি ব্যালট পাওয়া যায়। তল্লাশিকালে গাড়িতে নগদ ১ লাখ ২১ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এ দৃশ্য দেখে উপস্থিত প্রার্থী ও সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 

 

স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা নাজমুসসাকিব ও কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমানকে আটক করে জকিগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। কাজলসার ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন- নির্বাচনের উপজেলা রিটার্নিং ও ইউনিয়ন রিটার্নিং কর্মকর্তা মিলে টাকার বিনিময়ে নৌকা মার্কায় আগে সিল মেরে রেখেছিলেন। পরে ওই ব্যালটগুলো নিয়ে কেন্দ্রে ঢোকাতে চাইলে সিলমারা অবস্থায় দেখা যায়। এ ঘটনার কারণে দুই নির্বাচনী কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।

 

 

খবর পেয়ে বিকালে জকিগঞ্জের কাজলসার ইউনিয়নে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। ঘটনা শুনে সিলেটের জেলা প্রশাসক ওই ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যায় তারা জকিগঞ্জ থানায় করণীয় নির্ধারণ করতে বৈঠক করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের কাছ থেকে সর্বমোট ১২৫৬টি ব্যালট উদ্ধার করা হয়। এসব ব্যালটের ব্যাপারে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না। সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফর রহমান জানিয়েছেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। জনগণের অভিযোগ এবং সিলমারা ব্যালট ও নগদ টাকা পাওয়ার কারণে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

 

এদিকে- শেষ বিকালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে গোলযোগের খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে জকিগঞ্জ ইউনিয়নের ভরণ সুলতানপুর গ্রামের ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে নৌকার সমর্থনকারী সোহেল আহমদ ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের ওপর এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত সাংবাদিকরা। হামলায় দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাব ও দৈনিক শ্যামল সিলেটের স্টাফ ফটোসাংবাদিক ও সিলেট প্রতিদিনের চিফ ফটোসাংবাদিক আজমল আলী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় নৌকার সমর্থনকারী ও ভরণ সুলতানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মুতলিবের পুত্র সোহেল আহমদকে প্রধান আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এটিএম তুরাব।

 

সাংবাদিকরা জানিয়েছেন- বিকালে নৌকার সমর্থনকারী সুহেল আহমদ তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেন। এ সময় তাদের উপেক্ষা করে সাংবাদিকরা কেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের আঘাতে সাংবাদিক তুরাব মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন ও নাক ফেটে রক্ত বেরোয়। অপরদিকে সুলতানপুর ইউনিয়নের গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পুকুরে ফেলে দেয়া ছাড়াও বাক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিছু যুবক নৌকার প্রার্থী ইকবাল হোসেন চৌধুরী একলের পক্ষে ভোট দিতে জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্রে ঢোকে। এ সময় তারা ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে ভোট দিতে দেখা যায়। পুলিশ এতে বাধা প্রদান করলে ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন।

Comments are closed.

এই ধরণের আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
© All rights reserved © 2021 notunalonews24.com
Design and developed By Syl Service BD