ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকের দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের টানা ৩ বারের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা,জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আব্দুল মছব্বিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন, পেইজে মিথ্যা, মানহানিকর ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে শামীম আহমদ তালুকদার নামের একজন। তার বিরুদ্ধে
মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ অনলাইন ও ফেইসবুকে প্রকাশ করায় ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির। সাধারণ ডায়েরি সুত্রে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করা হয় ছাতক প্রতিদিন ও ছাতক টিভি অনলাইন পেইজে।
এতে আবারও মানহানিকর সংবাদ ভুঁইফোড় অনলাইনে প্রকাশ করে ছাতক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি আব্দুল আলিম ও জাতীয় দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার প্রতিনিধি উজ্জীবক সুজন তালুকদারের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক দাবীদার দেউলিয়া ওই শামীম আহমদ তালুকদার তার নামের ফেইসবুক আইডিতে তাদেরকে মামলার ও হুমকি দিয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির জানান, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা এবং সংবাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ই হচ্ছে শামীম আহমদ তালুকদারের পেশা। মানুষ কে মোবাইল ফোনে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত সে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা-বানোয়াট ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে এবং চাঁদা দাবী করে প্রতারক ওই শামীম তালুকদার। ওই সময় ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ আইনের আশ্রয় নেন। এ বিষয়ে ছাতক থানা পুলিশের সামনে সে আর কখনো মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করবেন না বলে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুক্ত হয়।
এ ছাড়া উত্তর খুরমা ইউনিয়নের সেওতর পাড়া গ্রামের সম্মানিত ব্যক্তি আব্দুন নুর মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে তার ভুঁইফোড় অনলাইনে। এতে ধারন বাজার এলাকা উত্তপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে সেওতর পাড়া গ্রামবাসী আইনি ব্যবস্থা নিতে উদ্যত হলে এতে এক সালিশ বৈঠক ধারণ বাজারে অনুষ্টিত হয়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় ২১ মার্চ ২০২১ রাতে সেওতর পাড়া ও কাকুরা গ্রামবাসীর সহ ছাতক থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের সে এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।ক্ষমা প্রার্থনা করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে ও। তার ক্ষমা প্রার্থনার দৃশ্য ওই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছিল। দোলার বাজার ইউনিয়নের একব্যক্তির কাছে চাঁদাদাবী ও তিনির বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় লংকা কান্ড ঘটেছে। ওই বিষয়টিও স্থানীয় ধারন বাজারে সালিশে নিষ্পত্তি হয়েছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে। উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদের বিরক্ত একাধিক মিথ্যা নিউজ প্রকাশ ও চাঁদাদাবী করেছে প্রতারক ওই শামীম তালুকদার। চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ বিষয়টি নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিলে প্রতারক শামীম তালুকদার তার বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যানের হাত-পা ধরে কান্না কাটি করে মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করে। চাঁদাবাজী, মিথ্যা নিউজ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা তার নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বিরকে ও নিউজের হুমকি দিয়ে তার কাছে মোটা অংকের চাঁদাদাবী করে শামীম তালুকদার নামের ওই ভুঁয়া সাংবাদিক।
চাঁদা না দেয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ কর যাচ্ছে। শামীম তালুকদারের রয়েছে নামে বেনামে বিভিন্ন ফেইসবুক আইডি, পেইজ ও অনলাইন পোর্টাল। তার এসব পেইজ-ফেইসবুকের ফেইক আইডিতে (তার) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বিরের একাধিক মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে। শামীম আহমদ তালুকদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তিনি প্রাথমিক ভাবে থানায় একটি জিডিও করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার বক্তব্য ছাড়া নিউজ,অনুমতি না নিয়ে ছবি ব্যবহার করা সহ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে মানহানি করায় তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই প্রতারক শামীম তালুকদারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করবেন। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে।