ব্রিটেনের ঘরে ঘরে ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধির চিঠি। লন্ডনের অধিকাংশ কাউন্সিল ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াচ্ছে কাউন্সিল ট্যাক্স। টেমসওয়াটার পানির বিল বাড়াচ্ছে ১১ শতাংশ। কিছু মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড এর বিল বাড়ছে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত। এপ্রিল মাস থেকে আরও অনেক বিল বাড়ছে। কাউন্সিলের ঘরের ভাড়া সোশ্যাল রেন্টও বাড়ছে অনেক জায়গায়।
লন্ডনের নিউহাম কাউন্সিল এলাকায় হাজার হাজার বাংলাদেশি পরিবার সহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ বসবাস করেন। লন্ডনের অন্যান্য স্থানের মতো এখানকার মানুষেরাও জীবনযাপনের খরচ কুলিয়ে উঠতে অনেক কষ্ট করছেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ সম্প্রতি একটি গবেষণা করে দেখিয়েছে, মহামারির আগের সময়ের চেয়ে এখন নিজেদেরকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল মনে করেন অর্ধেকের বেশী মানুষ। যারা ঘর ভাড়া করে থাকেন, তাদের অবস্থা শোচনীয়। যারা নিজের বাড়িতে থাকেন, তাদের তুলনায় ভাড়া ঘরে থাকা লোকজন নানা ধরনের বিল পরিশোধে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা চার গুন। ভাড়া পরিশোধের অর্থ সঞ্চয় করতে গিয়ে ১৭ শতাংশ মানুষ দিনের প্রতি বেলার খাবার না খেয়ে মাঝে মধ্যে না খেয়ে থেকেছেন।
বিল পরিশোধে পিছিয়ে পড়ার পর জীবনে প্রথমবারের মতো ফুড ব্যাঙ্ক থেকে খাবার খেয়েছেন এই ব্যাক্তি।
ব্যাক্তিগত আর্থিক বিষয়ে নিউহামের এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান থেকে উপদেশ নিয়েছেন বিবিসিকে সাক্ষাতকার দেয়া এই ব্যাক্তি। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর, তাঁর আগের বছরের চেয়ে তিন গুন বেশী মানুষ এই প্রতিষ্ঠানে পরামর্শ নিতে এসেছেন।
তাঁরা বলছেন, মানুষ সবচেয়ে বেশী ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বকেয়া বাড়ি ভাড়া নিয়ে।
মানি সেইভিং এক্সপার্ট এর মুখপাত্র কেইটি ওয়াটস বলছেন, অপ্রয়োজনীয় অনেক খরচ বাদ দেয়ার পরও আরও নানাভাবে খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রয়োজনে মোবাইল, ইন্টারনেট এবং ইন্সুরান্স কোম্পানির সাথে দরকষাকষি করেও অনেক খরচ কমিয়ে আনা যায়।