গত সেপ্টেম্বরে প্রয়াত রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সর্বশেষ দেখা হয়েছিল তাদের। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় দেখা-সাক্ষাত হলেও প্রিন্স হ্যারির সাথে তাঁর পিতা রাজা দ্বিতীয় চার্লস এবং বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন কমার লক্ষণ দেখা যায়নি। এর পর মাঝখানে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। এর ফলে সম্পর্কের তিক্ততা আরও বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ার প্রথম কারণ হলো নেটফ্লিক্সে প্রচারিত একটি সাক্ষাতকার, যেখানে হ্যারি ও ম্যাগান রাজপরিবারের থাকার সময়ে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। রাজপরিবারের অভ্যন্তরে যেসব ঘটনা তাদেরকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য করেছিল, তার বর্ণনা ছিল নেটফ্লিক্সে প্রচারিত সাক্ষাতকারে।
এরপর প্রকাশিত হয় প্রিন্স হ্যারির বই, যেখানে প্রকাশিত হয়ে যায় পরিবারের একান্ত খুঁটিনাটি অনেক বিষয়, যা বাইরের লোকের জানা রাজপরিবারের জন্য বিব্রতকর। বইয়ের প্রকাশনা উপলক্ষে টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যারি বলেন, পরিবারের সাথে নানা বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পাবেন তিনি।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, নতুন রাজা দ্বিতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের আনুষ্ঠানিকতায় তিনি যোগ দেবেন প্রিন্স হ্যারি। তবে রাজার পুত্রবধূ ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান আসবেন না। তিনি তখন ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাড়িতেই অবস্থান করবেন। কিন্তু হ্যারি একা এলেও মাঝখানে ঘটে যাওয়া এতো সব ঘটনার পর হ্যারিকে তাঁর পরিবার কীভাবে গ্রহণ করবে?
ওয়েস্টমিন্সটার এবেতে ৬ মে অনুষ্ঠিতব্য রাজ্যাভিষেকের আনুষ্ঠানিকতায় হ্যারি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসার স্থান পাবেন। ইভেন্টের আয়োজক কর্মকর্তারা আশা করছেন, হ্যারির উপস্থিতি আনুষ্ঠানিকতার সৌন্দর্যকে নষ্ট করবেনা।