জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ৬৮ কিলোমিটার হাওর রক্ষা বেরীবাঁধ নির্মানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সরকার কর্তৃক ১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে বেরীবাঁধের কাজ শুরু হয়। সরকার নির্ধারিত ২৮ ফেব্রুয়ারীর পর বর্ধিত সময়ে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ঝুকিপূর্ণ একটি বেরী বাধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, জগন্নাথপুরের উপজেলার কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তি ঝুকিপূর্ণ নলুয়ার হাওরের পোল্ডার নং ২ এর ৩৭ নং প্রকল্প নীতিমালা মেনে মাটি কাটা হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর আগাম বন্যায় পানিতে ডুবে যাওয়ার সম্ভবনা কম ও বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা কম রয়েছে। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের পাশে সাইনবোর্ড সাটিয়ে রাখা হয়েছে। ৭৬২ মিটার দৈর্ঘ্য এ বাধেঁর নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। এখানে যেভাবে কাজ হয়েছে তাতে কৃষকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় কৃষক রেজাউল,আব্দুল আলী,অমির আলী,সেলিম মিয়া,মোজাহিদ মিয়া,আনোয়ার মিয়া সহ আরো অনেকে জানান, উপজেলার অন্য বাঁধের তুলনায় এ বাধেঁ কাজ ভাল হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর ডান তীরের বেরীবাঁধে কাজ শেষ হওয়ায় আমরা কৃষকগন পিআইসির কমিটির সভাপতিকে ধন্যবাদ জানান। এভাবে সকল বাধেঁর কাজের জন্য দাবি জানান কৃষকেরা।তারা আরো জানান, এ বছর নতুন বেড়িবাঁধ হওয়ায় কৃষকদের সোনালী ফসল গোলায় উঠার আশা জেগেছে।এছাড়া বিগত সময়ে হাওর পাড়ের এই এলাকার লোকজনের যোগাযোগের কোনো সড়ক ছিলনা। ফসল রক্ষা বাঁধের ফলে আমাদের যাতায়াতের সুবিধাও বিস্তৃত হয়েছে।
প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল তাহিদ জুয়েল জানান,কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বাধঁ থাকায় বাধেঁর কাজ নিয়ে চিন্তায় ছিলাম, বাধঁটি খুবই ঝুকিপূর্ন, তাই দিনরাত পরিশ্রম করে অত্যান্ত সর্তকতার সহিত বাধেঁর কাজটি শেষ করেছি। আশা করছি কুশিয়ারা নদীতে আগাম বন্যা হলেও আমার বাধঁটি পানিতে তলিয়ে যাবেনা।গত বারের বাধঁ রেখেও এবার নতুন করে আরেকটি বাধঁ নিমার্ণ করেছি। সকলে সহযোগীতায় কাজ শেষ করায় সকল কৃষক সহ স্থানীয় প্রশাসনের সকলকে ধন্যবাদ জানান পিআইসি সভাপতি।
Leave a Reply