মুুুুহিবুুর রেজা টুনু; সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের সুলকাবাদ ইউনিয়নের বাগবেড় এলাকায় এক প্রথম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিশু শিক্ষার্থীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বখাটে হাসানকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এই পাশবিক নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ শিশুর আত্মীয় জানায়, উপজেলার বাঘবেড় গ্রামের ওই শিশুর বাড়ির পাশে ওরশ মাহফিল চলছিল। ওই ওরশে শিশু শিক্ষার্থী অন্যদের সাথে খেলছিল। এসময় পাশের আক্তার পাড়া গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে হাসান আলী নামের বখাটে কয়েকজন যুবকসহ ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে ভবণের পিছনে নিয়ে শিশু মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে শিশু মেয়েটির চিৎকার চেচামেচিতে এলাকার লোকজন আসলে বখাটে হাসান ও তার সহপাঠি বখাটেরা পালিয়ে যায়। তারপর শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থায় গুরুতর হওয়ায় তাকে রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা জুলেখা বেগম বুধবার সকাল ১০টায় একই গ্রামের ধর্ষণকারী, মোঃ হাসান আলী, দানা মিয়া, জসিম উদ্দিন এই তিনজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ০২। এ ঘটনায় পুলিশ মামলার প্রধান ধর্ষনকারী মোঃ হাসান আলীকে গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা মো. মনির হোসেন জানান, মেয়েটির ভাষ্য মতে বখাটে হাসানকে আটক করেছি। আমরা ঘটনা শুনার সাথে সাথে ভিক্টিমের বাড়ি যাই তাদের দেয়া তথ্যমতে বখাটে হাসানের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে নিয়ে আসি। অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply