নিউজ ডেস্ক::
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ৮-১১-২০১৭ ইং তারিখে কমিটির সকল সদস্যের উপস্তিতে সর্বসম্মতি ক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়ের সকল আয় ব্যাংকে জমার মাধ্যমে খরচ করা হবে।
যাহা সভার কার্যবিবরনী বহিতে লিপিবদ্ধ করার পর সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিজ নিজ শিলের উপর দস্তগত করেন। তার পরও প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ও সরকারি আইন অমান্য করে স্কুলের টাকা নিজের পকেটে রেখে দিলে সভাপতি মোঃ মুক্তার মিয়া ২৬-০২-১৮ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সু নির্দিষ্ট ৮ টি অনিয়মের অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
অভিযোগ পত্রের প্রক্ষিতে একটি তদন্তকারি টিম রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে সরেজমিন তদন্ত করে বিগত ৩০-০৪-১৮ইং তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে, প্রতিবেদনে দেখা যায় ৩ (তিন)লক্ষের ও অধিক টাকা প্রধান শিক্ষক ব্যাংকে জমা দেননি।প্রধান শিক্ষকের উপর আনিত ৮টি অভিযোগের মধ্যে ৬টিই ছিল অর্থ সংক্রান্ত,আর এই ৬ টি অভিযোগের মধ্যে একটি অভিযোগেরও সরকারি বিধি মোতাবেক কোন দলিল প্রমান উপস্তাপন করতে পারেননি অভিযোক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ।
তদন্ত প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২ নং বক্তব্যে বলেন, প্রধান শিক্ষকের নিকট লক্ষাধিক টাকা আছে মর্মে যে অভিযোগ করেছেন তা সত্যবলে প্রমানিত হয়।তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩ নং বক্তব্যে বলেন,বিগত ২ বছরের আর্থিক আয়ব্যয়ের হিসাব দেখতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কয়েক দিনের সময় প্রার্থনা করেন।
এই বলেই তদন্ত কর্মকর্তা বিগত দুই বছরের তদন্ত এরিয়ে যান, উল্লেখ্য যে ১৮ দিন পর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পরেও বিগত ২ বছরের আয়ব্যয়ের হিসাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক,এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ১৬,১৭ইংদুই অর্থ বছরের আয়ব্যয়ের হিসাব এ যনমে হয়ত আর দিতে হবেনা প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ কে ।
তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক বহুল সমালোচিত দারুল এহসান ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৯ইং সনে বি এড সার্টিফিকেট অর্জন করেন। উল্লেখ্য যে দারুল এহসান ইউনিভার্সিটির ২০০৭ ইং সনের পর থেকে সব সার্টিফিকেট সরকারের কাছে গ্রহন যোগ্য কি না সংশ্লিষ্ট উর্দতন অডিট কর্মকর্তারাই ভাল বলতে পারবেন।
এদিকে বিগত ১২/০৫/১৮ ইং তাং প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ নিজ মেয়ে দিয়ে সভাপতি ও উনার এল এল বি অধ্যয়নরত ভাতিজা যে বর্তমানে একটি প্রাইভেট ব্যাংকে কর্মরত আছে,তাদের দুইজনের উপর শাহ পরান থানায় মামলার জন্য জিডি করেন (জি ডি নং৫৪৩)।
এ বিষয়ে সভাপতি মোঃ মুক্তার মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রতিষ্টান ও ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার মান বৃদ্ধির অন্তরায় প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দাখিল করেছিলাম প্রধান শিক্ষক আমার অভিযোগ মিথ্যা প্রমান করতে ব্যর্থ হয়ে আমি ও আমার ভাতিজার উপর নিজ মেয়ে দিয়ে মামলা করে আমাকে ঘায়েল করে উনার দুর্নীতির দামাচাপার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ যখনি কোন অবৈধ্য কাজে আটকে জান তখনি প্রতিপক্ষের উপর অন্যায় বাবে নিজ মেয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলা করেন। এর আগে উনার মেয়ে দিয়ে বাগময়না গ্রামের সানু মিয়া, নেছার আলীর উপর জগন্নাতপুর থানায় বিগত ২৬/১২/১৬ ইং (সাধারন ডাইরি নং ৯১৯) মামলার অভিযোগ দাখিল করেন,ঐ মামলা করার রহস্য ছিল প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ উনার বড় ভাই মাম্মদ আলী কে দিয়ে দির্ঘদিন দরে কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলন কালে তথকালিন রাণীগঞ্জ,পাইলগাঁও ইউনিয়ন তহশিলদার কৃষ্ণ কান্তি দাস বাগময়না গ্রামের সানু মিয়া কে সাথে নিয়ে বিগত ১৫-১২-১৬ ইং তাং বালিশ্রী মৌজায় গিয়ে অবৈধ বলগেট ড্রেজার সহ অর্ধবোঝাই বালু নৌকা ও উনার বড় ভাই মাম্মদ মিয়াকে আটক করেন,যাহা স্থানিয় বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ফটোসহ আসে, এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েক দিন পর প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ উনার মেয়ে দিয়ে মামলা করে আতংক সৃষ্টি করে সবাইকে নিভৃতকরে অবৈধ বালুর বিষয়টি দামাচাপা দিতে সক্ষম হন।
মেয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলা একজন শিক্ষক হয়ে বার বার কিভাবে করেন,দেখে খুব অবাক হচ্ছি ,কোন শিক্ষিত সভ্য পিতা মেয়েকে ঢাল বা অশ্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন না।
আমি মুক্তার মিয়া রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই বারের সভাপতি একবার ম্যানেজিং কমিটির অর্থ উপকমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছি,বর্তমানে আমি রানীগঞ্জ কলেজের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য ও রানীগঞ্জ আলিম মাদ্রাসার দাতা সদস্য নির্বাচিত হয়েছি,এ সব প্রতিষ্টানে এলাকার অবিভাবকরাই আমাকে নির্বাচিত করেছেন।
আমি এলাকার ছেলে মেয়েদের শিক্ষার মাধ্যমে সুন্দরভবিষ্যতের জন্য এলাকার স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসায় উল্লেখ যোগ্য টাকা এমনকি ভবন দিয়ে শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখার চেষ্টা করেছি।
সূত্র: আজকের সুনামগঞ্জ।
Leave a Reply