চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ):: ছাতক-কোম্পানীগঞ্জে পাথর খেকোদের আগ্রাসনে ধংশ হচ্ছে টিলা, রোপওয়ের রজ্জুপথ, রেলওয়ের ভূমি, সঞ্চালাইনসহ কয়েকটি বিদ্যুতের খোটা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করে শারফিন টিলা ধংশ করা হয়েছে। ধংশের পথে রয়েছে হাদা টিলা ও মনিপুরী টিলা। কোম্পানীগঞ্জের কালাইরাগ এলাকায় পাথর খেকোদের আগ্রাসনে সঞ্চালন লাইনসহ কয়েকটি বিদ্যুতের খোটা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খোটার তলদেশ থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে পল¬ীবিদ্যুতের বেশ কয়েকটি খোটা হেলে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যেকোন মুহুর্তে সঞ্চালন লাইনে বিপর্যয় ও হতাহতের ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। পাথর খেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সাহস রাখে না বলেই তারা নির্বিঘেœ তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ ভাবে পাথর কোয়ারী খনন বন্ধে এবং পল¬ীবিদ্যুতের খোটা রক্ষায় ইতিমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ পল¬ীবিদ্যুৎ-২ এর ডেপুটি ম্যানেজার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন মানবাধিকার কর্মী বাপ্পী চৌধুরী। তার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কালাইরাগ মৌজায় সরকারি খতিয়ানে ৩৬২ দাগের প্রায় ৬৮ একর ভুমি এবং কালইরাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রেকর্ডিয় ভুমিতে পল¬ী বিদ্যুতের বেশ কয়েকটি খোটা বসিয়ে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি খোটা সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এক্সেবেটর দিয়ে পাথর উত্তোলনে খনন করা বিশাল-বিশাল গর্ত। বর্তমানে এসব গর্ত ও কোয়ারীতে পানি জমে ডোবায় পরিনত হয়ছে। এসব বিদ্যুতের খোটার তলদেশ পর্যন্ত খনন করায় প্রতিটি খোটা এদিক-ওদিক হেলে পড়েছে। কোয়ারী খননকারীদের প্রতিহত না করা গেলে সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষে যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে তা এখানে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। বিপদজ্জনক এসব বৈদ্যুতিক খোটা যেকোন সময় ধ্বসে মাটিতে পড়ে জানমালের ক্ষতি সাধিত হতে পারে। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ন বিবেচনা করে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয় এ আবেদনে। বাপ্পী চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় লোকজন জানান, কালাইরাগ ও ভাটরাই এলাকায় মসজিদ,মন্দির, স্কুল, কবরস্থান, শ্মশানঘাট এবং চলাচলের রাস্তাও পাথর খেকোদের আগ্রাসনে বিরাণ ভুমিতে পরিনত হতে যাচ্ছে। এলাকার চিহ্নিত একটি প্রভাবশালী চক্র এসব কাজে জড়িত রয়েছে। এ ছাড়া কালাইরাগে রেলওয়ে ভুমিতে, রোপওয়ে বাংকার হাইল্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। রাতে জিরো পয়েন্টের সাদা পাথর চোরাই পথে বিক্রি করছে রোপওয়ের দায়িত্বে থাকা লোকজন। ফলে সরকারী কোটি-কোটি টাকার সম্পদ চোরাই পথে নিয়ে যাচ্ছে পাথর খেকো এ চক্র। ছাতক রেলওয়ের এইএন (সিএসপি) মুজিবুর রহমান জানান, ভোলাগঞ্জে রেলওয়ের ভূমি ও টিলা থেকে পাথর উত্তোলন হচ্ছে চোরাই পথে। এদিকে শারফিন টিলায় পাথর উত্তোলনের ফলে টিলা ধংশসহ টিলার মাটিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে ইছামতি নদী। ঝুকিঁতে পড়েছে সরকারের ইছামতি রাবারড্যাম প্রকল্প। ##
Leave a Reply