জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :সুনামগন্জের শাল্লা উপজেলায় নিলিমা রাণী দাশ (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। এ ব্যাপারে গত ১৮ জুন পর্যন্ত ওই ছাত্রীর কোনো খোঁজ খরব না পেয়ে তার বিধবা মা প্রণতী রাণী দাশ শাল্লা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।

ডায়েরী নং-৬১৮। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী উপজেলার হবিবপুর ইউপির আনন্দপুর গ্রামের মৃত আশুতোষ দাশের মেয়ে। সে দিরাই উপজেলাস্থ বাংলাদেশ ফ্যামেলি একাডিমি থেকে ২০১৮ খ্রিঃ এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। পরে গত ১৫ জুন শুক্রবার দিরাইস্থ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় পরীক্ষার প্রস্তুতির কথা বলে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। স্কুল প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি কোনো আত্মীয় স্বজদের বাড়িতেও। এদিকে মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে কেঁদে অস্থির রয়েছেন দরিদ্র মা। গত ৫দিন যাবৎ অনাহারে দিনাতিপাত করছেন হতদরিদ্র ওই নাবালিকার বিধবা মা।

এ বিষয়ে মেয়ের মা বলেন, একই গ্রামের গোপাল রায় ওই মেয়েকে গত শুক্রবার অধ্যক্ষের ফোনের কথা বলে দিরাই উপজেলার মিলনবাজারে নিয়ে যায়। গোপাল রায় মেয়ের মাকে জানান ম্যাডাম বলেছে স্কুলে যাওয়ার জন্য। গত ১৫ জুন শুক্রবার গোপাল রায় ফোনে বারবার যোগাযোগ করে তার মেয়েকে দিরাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন।

এবিষয়ে প্রণতী রাণী বলেন, নিলিমার সাথে আমি দিরাই যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রায় আমাদের দিরাই যেতে নিষেধ করে। গোপাল রায়ের কথা বিশ্বাস করে মেয়েকে দিরাইস্থ বাংলাদেশ ফ্যামিলি একাডেমিতে পাঠান হতদরিদ্র বিধবা মা। এরপর থেকেই মেয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এব্যাপারে গোপাল রায় বলেন আমি এবিষয়ে কিছুই জানি না। ওই স্কুলের শিক্ষকরা আমার কাছ থেকে ওই মেয়ের খোঁজ খবর নিতেন।

এবিষয়ে বাংলাদেশ ফ্যামিলি একাডেমির অধ্যক্ষ নাজমা বেগমের সাথে ২০ জুন মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, স্কুল তো এখন বন্ধ রয়েছে। আর পরীক্ষার ফরম ফিলাপ তো আরো অনেক দেরিতে। আমি ওই মেয়েকে স্কুলে আসতে ফোন করিনি। তিনি আরো বলেন, মেয়েটি বিয়ের উপযুক্ত নয়। কারণ, তার বয়স মাত্র ১৬ বছর।

এ ব্যাপারে শাল্লা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সোহেল মাহমুদ বলেন, নিখোঁজ ডায়েরীর বার্তা পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাবালিকা মেয়েকে ফিরে পেতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুতি জানান ১৬ বছর বয়সী নিলিমার বিধবা মা প্রণতী রাণী দাশ।