1. admingusar@gmail.com : admingusar :
  2. crander@stand.com : :
  3. bnp786@gmail.com : editor :
  4. sylwebbd@gmail.com : mit :
  5. zia394@yahoo.com : Nurul Alam : Nurul Alam
  6. mrafiquealien@gmail.com : Rafique Ali : Rafique Ali
  7. sharuarprees@gmail.com : Sharuar : Mdg Sharuar
  8. cardgallary17@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জালালাবাদ এসোশিয়েশন অব বাফেলোর ইনক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা নির্বাচন কমিশনারদের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত আইন অনুমোদন চিকিৎসকদের উপর হামলা কিংবা চিকিৎসায় অবহেলা মেনে নিব না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আফগান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, পাক সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৭ সন্ত্রাসী ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি ডলার : রিপোর্ট ইরানে ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে যা বলছেন বিশ্লেষক মুক্তিপণে ছাড়া জিম্মি জাহাজ

মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন রাজশাহীর স্কুল শিক্ষক মাজাহার

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৮

নতুন আলো অনলাইন ডেস্ক: প্রায় ৮ বছর ধরে রাজশাহী নগরীর স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুলে বারান্দায় রাত কাটছে মাজাহার হোসেন নামে অবসরপ্রাপ্ত এক প্রধান শিক্ষকের। অবাক করা বিষয় হলো যে স্কুলের বারান্দায় রাত কাটছে এই মানুষটির সেই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি।

সেখানে ২৮ বছর শিক্ষকতা করেছেন মাজাহার হোসেন। ছেলে-মেয়ে সব থাকলেও ৮৫ বছর বয়সী এই মানুষটির সন্তানদের সান্নিধ্যে থাকার সৌভাগ্য হয়নি আজও।

মাজাহার হোসেন প্রধান শিক্ষক পদে দীর্ঘ ২৮ বছর দায়িত্বপালন করে ১৯৯৮ সালের ৫ এপ্রিল তিনি অবসরে যান। তখন অবসরকালীন সহায়তা ভাতা চালু হয়নি বেসরকারি শিক্ষকদের। ফলে একেবারেই শূন্য হাতে ঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। এ কারণে চরম আর্থিক সংকটে বিপর্যয় নেমে আসে তার। শেষ পর্যন্ত ছেলেরাও দায়িত্ব নেননি শিক্ষক বাবার। বাধ্য হয়ে একাই নেমে পড়েন এই পথে।

২০১০ সালের শেষ দিকে এসে উঠেছেন রাজশাহী নগরীর স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুলে। বর্তমানের স্কুলটির ল্যাবরেটরি কক্ষের বারান্দায় রাত কাটে তার। শীত-বর্ষায় সঙ্গীহীন কত রাত এখানে কাটিয়েছেন সেই হিসাব নেই তার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের বারান্দায় পাওয়া মাজাহার হোসেনকে। মেঝেতে পাতানো বিছানায় বসে খাতায় কি যেন লিখছিলেন তিনি। ডাকতেই মাথা উঁচু করে তাকালে। কি লিখছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোজকার হিসাব। কবে কে ক'টাকা দিয়েছেন, ক'টাকা কোথায় খরচ হয়েছে, সেই হিসাব তুলে রাখেন প্রতিদিনই। সপ্তাহ শেষে টানেন জের। এভাবেই কত সপ্তাহ কেটে গেছে শুধু সেই হিসাব নেই তার।

দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক মাজহার হোসেন আগে থাকতেন নগরীর বিনোদপুর এলাকায়। সেখানে নিজের বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়িতে ছোট ছেলে আসাদুজ্জামান আপেল থাকেন। মাকে নিয়ে সেখানে থাকলেও ঠাঁই হয়নি বাবার। আপেল নগরীর একটি বেসরকারি কলেজের গণিতের শিক্ষক।

বড় ছেলে আক্তারুজ্জামান মুকুল। শুরুতে বাবার স্কুলে যোগদান করেছিলেন। কিছুদিনের মাথায় সেই চাকরি ছেড়ে কোচিং সেন্টার খোলেন। কয়েক বছর সেটি চালিয়ে বন্ধ করে দেন। এখন কি করেন, সেটি জানেন না বাবা।

নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বাস করেন মুকুল। থাকেন একটি আলিসান ভবনের তৃতীয় তলায়। বৃদ্ধ বাবা সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারেন না সেখানে। ফলে বাধ্য হয়ে ছেলের বাড়ি ছাড়েন মাজাহার হোসেন।

অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক বলেন, বড় ছেলে কেবল খাবার দিয়ে দায় সেরেছে। প্রতিদিনই খাবারের জন্য নগরীর নিউমার্কেটের সামনে বসে থাকতে হয়। সেখানে খাবার পাঠিয়ে দেয় ছেলে। সেই খাবার নিয়ে হেঁটে ফেরেন স্কুলে। এর বাইরে বড় ছেলের আর কোনো দায়িত্ব নেই।

ছোট ছেলে কখনই খোঁজ নেন না। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়েছে খুলনায়। জামাইয়ের কাপরের ব্যবসা রয়েছে সেখানে। বছরে দু-একবার আসে মেয়ে। স্কুলে এসে দেখা করে যায়। যাবার সময় কিছু টাকা হাতে গুজে দিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অনেকেই প্রতিষ্ঠিত। তারা আমার এ অবস্থার খবর জেনেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তারা নানানভাবে সহায়তা করে আসছে। কথায় কথায় সময় গড়িয়ে যায়। চোখের কোণে জল চিকচিক করে ওঠে এই শিক্ষকের।

তিনি জানান, এক সময় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সুখের সংসার করেছেন। সেই ছেলে-মেয়েরা এখন আলাদা। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে স্ত্রীর সান্নিধ্য পাননি তিনি। ছোট ছেলে দায়িত্ব নিয়েছে মায়ের, বড় ছেলে নিয়েছে আমার।

২০১০ সালের দিকে পেটের অসুখে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর থেকে ছেলের বহুতল বাসায় আর উঠতে পারেন না তিনি। ছেলেও বাবার জন্য বদল করেননি বাসা। বাধ্য হয়ে তাকেই পথে নামতে হয়েছে। প্রথম দিকে নিউমার্কেটের একটি দোকানের সামনে রাত কাটাতেন। পরে নিজ হাতে গড়া স্কুলে উঠেছেন।

বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া দেহে বাসা বেঁধেছে নানান রোগ। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হার্নিয়ায় আক্রান্ত। মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন। অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। এজন্য প্রয়োজন ২০ হাজার টাকা। তা জোগাড় না হওয়ায় শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন রোগ। উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হোমিও চিকিৎসা শুরু করেছেন। সেখানেও কেটেছে এক বছর। হোমিও চিকিৎসাতেও মেলেনি ফল। জীবনের শেষ বেলায় এসে অসহায় আত্মসমর্পণ এই মানুষ গড়ার কারিগরের। :’)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
© All rights reserved © 2021 notunalonews24.com
Design and developed By Syl Service BD