নতুন আলো অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ থেকেই গণআন্দোলন শুরু হবে। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে। শুক্রবারের এই সমাবেশে এতো মানুষের সমাগম হবে, যা অতীতে ঐক্যফ্রন্ট কিংবা রাজশাহীর অন্য কোনো সমাবেশে হয়নি।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অতীতে বড় বড় নেতাদের বক্তব্য শুনতে মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় মানুষের ঢল নামতো। ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশেও তাই ঘটবে। লাখো মানুষের ঢল নামবে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে। তবে পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী এবং উচ্চভিলাষী কর্মকর্তা সমাবেশে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। এক রাতেই বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মাত্র ১৪ ঘণ্টা আগে ১২টি শর্তে আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করার লিখিত অনুমতি পেলাম। বুধবার গণকপাড়ায় সমাবেশের অনুমতি দিয়ে পরে মাদরাসা মাঠে পরিবর্তন করা হয়। সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাড়াও মাঠে মঞ্চ তৈরিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এখন সমাবেশে যাতে জনসমাগম কম হয়, সেজন্য রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকায়ও ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এমনটি করা হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাস বন্ধের পরও শুক্রবারের সমাবেশ সফল হবে এবং এখান থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সারাদেশে তীব্র গণআন্দোলন শুরু হবে।
মিনু বলেন, ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মাহামুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব, কর্নেল অলি আহমেদ, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, আন্দালিব রহমান পার্থের মতো নেতারা রাজশাহীর সমাবেশে যোগ দেবেন। এই সমাবেশ থেকে এমন কর্মসূচি আসবে যা দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে দেবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্ত হবেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার দিন ঠিক করার ব্যাপারে মিনু বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দেশের জনগণ মানে না। অযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে এই কমিশন করা হয়েছিল। জনগণকে নিয়ে প্রয়োজনে আবার নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে। জণগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করা হবে।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের শুক্রবারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মিজানুর রহমান মিনু। তিনি বলেন, অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়েছে। তবে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানাননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেএসডির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ গোফরান, মহানগর সম্পাদক মারুফ আহমেদ পিকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply