মনসুর আহমদ :: সিলেট বাসীর কৃতি সন্তান, মৌলভীবাজারের গর্ব মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য,মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, দেশ খ্যাত প্রতিবাদী সাবেক ৪বারের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী বড়লেখা – জুড়ি, পাথারিয়া পাহাড় মাধব কুন্ড হাকালুকি পারের জীবন্ত মহা নায়ক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এড: এবাদুর রহমান চৌধুরী মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর ও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং বিএনিপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে দরখাস্ত পাঠিয়েছেন তাতে তিনি উল্লেখ করে উনি শারিরিক ভাবে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ এবং তার পক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এই নিয়ে বড়লেখা জুড়ি মৌলভীবাজার ১আসনে বইছে নেতা কর্মিদের মধ্যে এক কষ্টের হাওয়া অনেকে আবার আবেগময় হয়ে পড়েছেন, এ কেমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ জনগণ কারণ এড: এবাদুর রহমান ছিলেন এ আসনের শিক্ষা ক্ষেত্রে রুল মডেল চৌধুরীর আমলেই বড়লেখা জুড়ি বাসী শিক্ষায় আলোয় মুখ দেখে উল্লেখ যোগ্য বর্তমান বড়লেখা সরকারি কলেজ এড: এবাদুর রহমান চৌধুরী ১৯৮৬সালে প্রতিষ্টা করেন, নারি শিক্ষার অধিকার আদায়ের লক্ষে নারি শিক্ষা একাডেমী প্রতিষ্টা করেন, এবং বড়লেখা জুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় গুলোকে নিয়ে যান ৩৫এর উপরে,বর্তমান কুলাউড়া বড়লেখা শাহবাজপুর যাতায়াতের সড়ক উনি প্রথম পাকা করণ করেন,হাকালুকি পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত রাস্থা এই নেতার আমলেই হয়,৬ ফুট উচ্চতার মানুুষটিকে দেশবাসী জানেন একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে। দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতির বাইরে দাড়িয়ে ষাট বছর রাজনীতি করেছেন।সিলেট বিভাগ অান্দোলনের
অন্যতম রূপকার। কমলগঞ্জে সমাজপতিদের ছুড়ে মারা পাথরে খুন হওয়া উনিশ শতকের অালোচিত নুরজাহান হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী এই অসাম্প্রদায়িক মানুষটি।
সুপ্রীম কোর্টের বরেন্য অাইনজীবি হিসেবে বর্নাঢ্য
ক্যারিয়ারও চাপা পড়ে গেছে রাজনীতির অর্জনে। নৌকার দুর্গ বড়লেখা থেকে চার বার নৌকার বিরুদ্ধে লড়ে এমপি হবার রেকর্ড এবাদুর রহমানের। মন্ত্রীর মর্যাদায় জেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান ছিলেন। মন্ত্রীসভায় নিজ যোগ্যতায় জায়গা করেছিলেন। ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থানে ঢাকার রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাকালুকিপারে উন্নয়নের রাজনীতি, শিক্ষা বিস্তারে উনার ঐকান্তিক প্রয়াস বহুকাল খুব সাধারন মানুষের ভালবাসার অক্ষরে লেখা থাকবে সারা জীবন,এবার শারীরিক কারনে নির্বাচন না করবার ঘোষনা দিয়েছেন মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পরে ও,বড়লেখা জুড়ীবাসী সহ প্রবাসেও অাপনার হাজারো অনুসারী অার সমর্থকদের মধ্যে মুহুর্তে নেমে অাসছে নীরবতা।
বয়স হওয়ার কারনে তৃনমূল পর্যায়ে বিগত সময় আশানুরূপ সময় দিতে পারেননি দেখে
তাঁর দলের নেতাকর্মীদের মৃদু অভিমান আছে ঠিকই। কিন্তু
সকলের হৃদয়ের গভীরতম অংশে এবাদুর রহমান চৌধুরীর জন্য অপরিসীম ভালোবাসাও বিদ্যমান। তাই হয়তো শেষ সময়ে এসে শারীরীক অসুস্থতাজনিত কারনে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে সরে দাড়ান,
বড়লেখার শিক্ষা, যোগাযোগ, অবকাঠামোসহ তাবদ উন্নয়নে
এবাদুর রহমান চৌধুরীর অবদান এ আসনের মানুষ স্বীকার করে।বড়লেখা জুড়ীর উন্নয়নে তাঁর সুচিন্তিত কর্ম পরিকল্পনা, তার উন্নয়ন কখনো মানুষের হৃদয় থেকে মুছেঁ যাবার নয়।এবাদুর রহমান চৌধুরীর যে সমালোচনা নেই তা বলব না। কিন্তু তাঁর
যোগ্যতা, নেতৃত্ব, উন্নয়ন ও জনবান্ধব চিন্তা এসব তার
সমালোচনার পাল্লাকে ছাড়িয়ে গেছে।আর এই লোকটিকে ভোটের রাজনীতি দেখা যাবে না তার এমন বিদায়ে বড়লেখা ও জুড়ীর সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে অশ্রুপাত। এবাদুর রহমান ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন উনাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দল গনমানুষের ভালোবাসা পেয়ে অাজীবন জনতার সেবা করেছেন সাতবার এলাকার মানুষের মনোনীত পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন।৪ বার এমপি হয়েছেন। উন্নয়নে সমৃদ্ধ করেছেন অবহেলিত এই জনপদকে। যোগ্যতা ও কর্মের
স্বীকৃতিস্বরুপ মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।আধুনিক বড়লেখা গড়ার পেছনে তাঁর অবদান বড়লেখার ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে।রাজনীতিতে শতবছরেওএবাদুর রহমান চৌধুরীর শুন্যতা পূরণ হবেনা। বড়লেখা ও জুড়িবাসী
তাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে আপনার কথা আপনার উন্নয়নের কথা, শিক্ষা বিস্তারে আপনার অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে এই বর্ষীয়ান নেতাকে।
Leave a Reply