প্রেস বিজ্ঞপ্তি:গত মঙ্গলবার ৫ ফ্রেরুয়ারী সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন শহীদ হাফিজুর রহমান হাফিজের মামলায় সকল আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করে যে রায় দিয়েছে, এই রায় কে প্রহসনের রায় আক্ষাহিত করে রায় কে প্রত্যাখ্যান করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথপুর বিএনপি পরিবারের নেত্রীবৃন্দ। নেতৃবৃন্দরা বলেন আমরা মনে করি এ রায়ের ফলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, দেশ অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।শহীদ হাফিজুর রহমান হাফিজের পরিবার সহ আমরাদের কে ন্যায়বিচার থেকে বন্চিত করা হয়েছে, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে বিচারক এ রায় দিয়েছেন।
বিবৃতিদাতা হলেন জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু হোরায়রা সাদ মাষ্টার, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মুকিত, সহ-সভাপতি এড. জিয়াউর রহিম শাহিন,সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম খসরু সাবেক চেয়ারম্যান,সহ-সভাপতি আকছির আলী সাবেক চেয়ায়ম্যান, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোসাব্বির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সোবহান। জগন্নাথপুর পৌর বিএনপির সভাপতি এম এ মতিন, সাধারন সম্পাদক ও শহীদ হাফিজুরের বড় ভাই হাজী হারুনুজ্জামান হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম। কলকলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জান কামরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সাদিকুর রহমান নান্নু, পাটলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী শফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আব্দুর নুর, মিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর নুর, সাধারন সম্পাদক আখলুল করিম, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ডা: রাজা মিয়া, প্রথম সদস্য মাসুক মিয়া, রানীগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী চান মিয়া, সাধারন সম্পাদক এড আজমল হোসেন, সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আলী আহমদ দুলা, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রাহিন তালুকদার, আশারকান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান কবেরী, সাধারন সম্পাদক ফকরুল ইসলাম, পাইলগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান তহুর, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ জুবায়ের আহমদ আবু। জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক ও সুনামগন্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবুল হাশিম ডালিম,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আনহার মিয়া, যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ শফিকুর রহমান, যুগ্ম-আহবায়ক হাজী সোহেল আহমদ খান টুনু, সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মিজান কৌরাইশী, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ইসহাক আহমদ,রানীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুর নুর, কলকলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সেলিম আহমদ, সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম লেবু,আশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইউসুফ মিয়া, যুবদল নেতা এম এ মালেক, পাইলগাঁও ইউনিয়ন যুবদল নেতা আবু বক্কর মধু, হাফিজুর রহমান, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সেলিম আহমদ, সাধারন সম্পাদক রুবেল মিয়া ,মিরপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আলিউল আহমেদ। জগন্নাথপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক ও জেলা যুবদলের সদস্য লিটন মিয়া, পৌর যুবদল নেতা ও জেলা যুবদল সদস্য শামিম আহমদ। সুনামগন্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক হাজী হারুনুর রশীদ, জেলা সেচ্ছাসেবক দল সদস্য নুরুল আমিন। জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদল নেতা শেখ মামুন, মামুনুর রশিদ, জুনেদ আহমদ, সৈয়দ জাবির আহমদ, জগন্নাথপুর পৌর ছাত্রদল নেতা তোফায়েল আহমদ, নুর আলম,জগন্নাথপুর কলেজ ছাত্রদল নেতা দুলু মিয়া,জাকারিয়া আহমেদ সহ আরও অনেক নেত্রীবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার প্রার্বত্য শান্তি চুক্তির নামে কালো চুক্তির বাতিলের প্রতিবাদে ১৯৯৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিএনপির ডাকে সাড়া বাংলাদেশের ন্যায় জগন্নাথপুরে শান্তিপূর্ণ হরতাল চলাকালে পৌর শহরের হবিবপুর আলিয়া মাদ্রাসা পয়েন্টে পিকেটিং চলাকালে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয় জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের অন্যতম সহ-সভাপতি শহীদ হাফিজুর রহমান হাফিজ।
আমরা আজ হতবাগ হয়েছি একটা খুনের মামলায় কি ভাবে অপরাধীরা খালাস পায় ? বিচারক কি ভাবে এই রায় দিলেন ? শহীদ হাফিজের মামলায় ফরমাসি রায়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বেকসুর খালাস দিয়ে আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে,দেশের বিচার বিভাগ কে পুরাপুরি ভাবে দলীয়করন করা হয়েছে, বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে, বিচার বিভাগের অবস্থা খুবই নাজুক খুবই খারাপ, দেশে আইনের শাসন বলতে কিছুই নেই।তাই আমরা জগন্নাথপুর বিএনপি পরিবার শহীদ হাফিজুর রহমান হাফিজের মামলায় এই প্রহসনের রায় কে ঘৃন্যভরে প্রত্যাখ্যান করছি। সেই সাথে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।