নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানায় সকাল হলেই শুরু হয় মোটরবাইকের উপর কড়া নজরদারি,প্রতিনিয়ত হেমলেট,কাগজ, লাইসেন্স এবং বিভিন্ন কারণে মোটরবাইকের উপর মামলা করা হয়,এর ঠিক উল্টো ক্ষমতাশীল দলের কোন নেতা কর্মির যদি গাড়ি সিগনালে পড়ে তাদের যাচাই বাছাই না করে গাড়ির কাগজ নেতার ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয়,এমন এক অভিযোগ করেছেন বড়লেখার এক তরুণ , তিনি তার ফেইবুল টাইমলাইনে পোষ্ট করেন…বড়লেখার সাধারণ জনগণের উপর পুলিশের হয়রানি নেতা হলে গাড়ি বাড়িতে আর নেতা না হলে গাড়ি থানাতে, এই পোষ্ট উনার ফেইসবুকে পোষ্ট করার পর বড়লেখার সামাজিক ভাবে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা ঝড়।
ইমদাদুল হক বড়লেখা পৌর শহরের পানিধার এলাকার বাসিন্দা, এবং তিনি ক্রীড়া সামাজিক সাংস্কৃতিক ও সিলেটে বড়লেখা ছাত্র কল্যাণ সংস্থার স্থায়ী কমিঠির সদস্য।
ইমদাদুল হক উনার ফেইসবুল টাইমলাইনে পোষ্ট করেন…বড়লেখাতে সাধারণ জনগনের উপর পুলিশের হয়রানি , নেতা না হলেই মামলা , নেতা হলে বাড়িতে নেতা না হলে থানাতে ।
বড়লেখাতে পুলিশের হাতে সাধারণ জনগন হয়রানি হচ্ছে প্রতিনিয়ত , ২০/০৫/১৯ ইং রোজ সোমবার , ১৪ রমজান বড়লেখা থানার সামনে ভুক্তভোগী হয়েছেন অনেক মানুষ , সেই সাথে আমি নিজে ও , আমি সিলেট আসার জন্য রওয়ানা হলে পুলিশের এস.আই মিন্টু আমাকে সিগনাল দেন আমি বাইক থামিয়ে কাগজ পত্র দেখাই, বাইকের হেমলেট , কাগজ , বীমা ,এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লার্নার কার্ড দেখালে সব কিছু সঠিক থাকা সত্বেও পুলিশ এস,আই মিন্টু আমাকে মামলা দিয়ে দেন । ঐ সময়ই একজন মটর বাইক আরোহী পুলিশ অফিসারের সামনে দিয়ে হেমলেট ছাড়া কাগজ পত্র ছাড়া চলে যেতে দেখে আমি উনাকে জিজ্ঞাস করি উনাকে কেন মামলা দেওয়া হলো না ?
প্রতি উওরে এস,আই মিন্টু আমাকে বলেন “ উনি নেতা তাই উনাকে মামলা দেওয়া হবে না , উনার গাড়ি প্রয়েজনে এস,আই সাহেব বাড়িতে নিয়ে দিবেন “ ।
বাইক চালকদের কাগজ পত্র থাকা সত্বেও প্রতিনিয়ত পুলিশের হাতে হয়রানি হতে হচ্ছে এবং বাইকের কাগজ পত্র চেকিংয়ের নামে বড়লেখাতে চলছে নিরবে চাঁদাবাজী । অথচ অবৈধ সি.এন.জি , বাইক সহ আরও নানান অপকর্ম বড়লেখাতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের সামনে দিয়ে কিন্তু উনারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন ।
অত্র এলাকার
মানুষ হাসপাতালে , বাজারে , মসজিদে নামাজে যেতে বার কাগজ দেখাতে হচ্ছে যা হয়রানির চরম পর্য়ায়ে ।
আমরা সাধারন জনগন দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আমাদের এলাকার সাংসদ, বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী আলহ্বাজ মো. শাহাব উদ্দীন সাহেব একজন সৎ ব্যক্তি এবং উনি দূর্ণীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছেন , কিন্তু উনার এলাকায় এই রকম কার্যক্রম পরিচালিত হলে উনার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে আমি মনে করি । সুতরাং অতি সত্বর বড়লেখার নেতৃস্থানীয় ব্যক্ত বর্গের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এই সমস্য গুলো দ্রুত সমাধান করে জনগনকে মুক্তি দিবেন ।
বি:দ্রা : সত্য প্রকাশের জন্য আমার বিরুদ্ধে কোন রকম মিথ্যা মামলা হলে ও আমি অবাক হবো না । কারন এই সত্যটা প্রকাশ করার জন্য আমি বডলখার অনেক সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা চেয়েছি কিন্তু উনারা প্রশাসনের ক্ষমতার কাছে নিরুপায় । তাই আমি নিজের টাইম লাইনে লিখতে বাধ্য হলাম ।
Leave a Reply