ডেস্ক রির্পোট সিলেট:: মহান একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও কবি আবুল বশর আনসারীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সিলেটের আম্বরখানার চৌকিদেখিস্থ কবি আবুল বশর আনসারীর নিজ বাসভবন জেনেত কটেজে খায়রুননেছা খানম একাডেমী স্কুল অডিটোরিয়ামে স্কুলের পরিচালনা কমিটির পরিচালক মোঃ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে, ভাষার জন্য আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি সন্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লন্ডন প্রবাসি কমিউনিটি নেত্রী ও সমাজ সেবিকা রুহুন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক, দৈনিক ইনফো বাংলা সিলেটের ব্যুরো প্রধান, মানবতার ফেরিওয়ালা উৎফল বড়ুয়া, যুগ্ম আহবায়ক, মহিবুর রহমান একাডেমি সিনিয়র শিক্ষক পথিক রাসেল, যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার রানা বড়ুয়া, সৈয়দা হুমাইরা আহমেদ, সৈয়দা মারিয়া আহমেদ ও খায়রুননেছা খানম একাডেমী স্কুলরে শিক্ষিকা সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
মহান একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে কবি আবুল বশর আনসারীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিশ্বের কোথাও নজির নাই মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্য,ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য যোদ্ধা করেছেন,প্রান দিয়েছেন একমাত্র বাংলা ভাষার জন্য বীর বাঙ্গালিরা জীবন দিয়েছেন শহীদ হয়েছেন ভাষার অধিকার আদায় করেছেন। তাই একুশ আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের প্রায় সব দেশে স্ব স্ব মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান জানিয়ে পালন হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, ভাষার অধিকার আদায়, স্বাধীনতা, বাংলার বিজয় সব কিন্তু অর্জন হয়েছে ছাত্র, জনতা, আপামোর জনসাধারণ তথা কবি আবুল বশর আনসারীর মত মহান মানবিক, নিঃস্বার্থ দেশ ধরদী মানুষের অসাধারণ ভুমিকার জন্য সম্ভব হয়েছে।
বক্তারা কবি আবুল বশর আনসারীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের বনগাঁও গ্রামে জন্ম গ্রহন করা ছেলেটি ছিলেন একাধারে মানবিক মানুষ, কবি, সমাজ হিতৈষী, জনধরদী, নিঃস্বার্থ রাজনীতিবিদ, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, যিনি দেশকে নিয়ে, মাতৃভাষাকে নিয়ে, জীবন ও কর্মকে নিয়ে, মহান স্বাধীনতাকে নিয়ে, মহান বিজয়কে নিয়ে, মহামানবদের নিয়ে, সিলেটকে নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছেন, বই প্রকাশ করেছেন, যিনি তৎকালীন সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সর্বক্ষেত্রে যাঁর অসাধারণ অবদান ছিলেন আগামিতে তাঁকে রাষ্ট্রী।য় সম্মাননা একুশে পদকে মনোনীত করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোড় দাবি জানান।
পরে,উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রয়ারি আমি কি ভু্লিতে পারি” গানটি গেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।