নতুন আলো অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট:: প্রবাস ফেরত জনগণের কোনো তথ্য নেই সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। দেশে ফেরার পর রিপোর্ট না করে বাড়িতে অবস্থান করায় তাদের সম্পর্কে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছেও কোনো তথ্য থাকছে না।
করোনাভাইরাস ও রোগী সম্পর্কে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ায় জনগণের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার দুপুরে শহরে উত্তর চেলোপাড়ায় ইতালি প্রবাসী মাসুদ উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করেন। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তাকে হোম কোয়ারেন্টাইন করেছেন।
এ নিয়ে গত কয়েকদিনে এ জেলায় ৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদেশ থেকে ফেরা জনগণের কোনো তথ্য বগুড়ার গোয়েন্দা সংস্থা বা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই। কোনো প্রবাসী রিপোর্ট করলে বা তাদের সম্পর্কে কেউ অবগত করলেই তাদের সম্পর্কে জানা সম্ভব হচ্ছে। পরে স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন করেছে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, বিদেশ ফেরত সবার প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগ নজরদারি করতে পারছে না। কেবল যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের ব্যাপারে নিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-কর্মীরা নজরদারি করছেন। তারপরও লোকবল কম হওয়ায় তারা (প্রবাসী) কতটা নির্দেশ মনে চলছেন তা জানা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, জনগণ জেগে উঠেছেন, তাই প্রবাসী কেউ স্বাস্থ্য বিভাগে রিপোর্ট না করে বাড়িতে আত্মগোপনে থাকতে পারবেন না।
বগুড়ার ডিএসবির পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবদুল জলিল জানান, প্রতিদিন কতজন প্রবাসী বাড়িতে ফিরছেন তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। ঢাকার এসবি থেকেই এ সংক্রান্ত তথ্য দিলে তারা সেই প্রবাসীর ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করছেন।
এ দিকে বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে মাসুদ উদ্দিন (২২) প্রায় ৯ বছর ইতালিতে থাকেন। তিনি গত ১৫ মার্চ দেশে ফেরার পর বাড়িতে আসেন। প্রতিবেশীদের মাঝে গুজব ছড়িয়ে পড়ে মাসুদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মাঝে উত্তেজনা ও আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে তার বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এসে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইন করেন।
বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম থেকে পরিসংখ্যানবিদ শাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদেশ ফেরত ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার নতুন করে ৩৩ জনসহ মোট ৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হল। এর মধ্যে শিবগঞ্জে ১৭ জন, আদমদীঘিতে ১৫ জন, নন্দীগ্রামে ১৩ জন, সোনাতলায় ৯ জন, গাবতলীতে ৬ জন, বগুড়া সদরে ৫ জন, ধুনটে ১ জন ও সারিয়াকান্দিতে ১ জন।