এম রেজা টুনু সুনামগন্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলায় পৃথক পৃথক বজ্রপাতে এক যুবকসহ ৪জন নিহত হয়েছেন।
জানাগেছে, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে বজ্রপাতে শংকর দাস নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে নারায়নপুর গ্রামের শংকর দাস বাড়ি থেকে পাশ্বর্বতী সাসখাই বাজারে যাওয়ার সময় রাস্তায় বজ্রপাতে তিনি মারা যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হলদিপুর ইউনিয়নের নলুয়ার হাওরে গরু ছড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তার নাম মোঃ শিপন মিয়া। তিনি ইউনিয়নের বাউধরন গ্রামের মৃত তবারক উল্ল্যার ছেলে বলে জানা যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১টায় হাওরে গরু ছড়াতে গিয়ে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ব্যাপােরে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অপর এক ঘটনায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের হাওর ধান কাটার সময় এক শ্রমিক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তার নাম মোঃ তাপস মিয়া (৩০)। সে পার্শ্ববর্তী হরিগঞ্জ জেলার আজমীরিগঞ্জ উপজেলার জলসুকা গ্রামের মোঃ মফিজ উল্ল্যাহর ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মরমঙ্গল ইউনিয়নের একটি হাওর ধান কাটার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে এই শ্রমিক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতত করেছেন।
এছাড়াও জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের পাচঁগুচিয়া হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তার নাম মোঃ ফরিদ মিয়া (৩৫)। তিনি পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগর গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলামের ছেলে। শনিবার সকালে পাচঁগুচিয়া হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।