এম রেজা টুনু সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের খাড়াউড়া গ্রামের বজলুর রহমান বকুলের দালালিতে চলতি বোরো মৌসুমের বোরো ধান চাষ না করেও সরকার কর্তৃক গুদামে ধান ক্রয়ের তালিকায় কৃষক হিসেবে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খাগাউড়া ও মহিষাকোনা গ্রামের কিছু লোকের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় হলিকোনা বাজারে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে বজলুর রহমান বকুলের বিরুদ্ধে এক শালিষী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এস আই অনিক চন্দ্র দেব এর নেতৃত্বে পুলিশদল হলিকোনা বাজারে উপস্থিত হয়ে করোনা ভাইরাসের কারনে শালিষী ব্যক্তিদের সাথে আলোচনাক্রমে শালিষী বৈঠকটি স্থগিত করে দেন। এ ব্যাপারে রবিবার এলাকাবাসী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: নাজির উদ্দিন খাগাউড়া ও মহিষাকোনা গ্রামে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেন। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ১শ ৪৪জন কৃষকের তালিকার মধ্যে থেকে ৩১জন ভূয়া কৃষকের নাম তদন্তে পাওয়া যায়। তদন্তকালে বেরিয়ে আসা ৩১জন ভুয়া কৃষক এবারের বোরো মৌসুমে বোরো ধান চাষ করছেন বলে প্রমান পাওয়া যায়নি। খাগাউড়া ও মহিষাকোনা গ্রামের অনেকেই জানান, বজলুর রহমান বকুল সহ দালাল চক্রটি ৪শ থেকে ৫শ টাকার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে কৃষক কার্ড নিয়ে তালিকায় নাম দিয়েছেন। এলাকার আরজান আহমদ, সাইদুর রহমান, এনামুল হক এনাম, ইতালী প্রবাসী আজির উদ্দিন সহ অনেকেই ভূয়া কৃষকদের কার্ড দিয়ে বজলুর রহমান বকুলের দালালির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদকারীরা জানান, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজির উদ্দিনের কাছে ভোক্ত ভোগীরা বজলুর রহমান বকুলের নাম প্রকাশ করেছেন। অভিযুক্ত কৃষক ও বজলুর রহমান বকুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) এলাকাবাসী জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।