মুহিবুর রহমান মিছলু সিলেট থেকে: কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী নগরীর শাহজালাল উপশহরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের কে নিরুৎসাহিত করে বলেন বেঁচে থাকলে ব্যবসা সারাজীবন করতে পারবেন, সিলেট চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির এবং অন্যান্য শপিং মলগুলোর সাহিত একাত্মতা পোষণ করে কাপড়ের দোকান গুলো বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন।
এতে সরকারের নিয়মনীতি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করবেন মর্মে ওসির কাছে অনুরোধ করেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
পরে ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী তিনি নিজে উপস্থিত থেকে এবং মানবাধিকার কর্মী উপশহর ব্যবসায়ী সমিতি ইএফ এর সাবেক সেক্রেটারি সমাজ সেবক সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু সহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ কে সাথে নিয়ে বিভিন্ন দোকানে সচেতনতা মূলক দুরত্ব গোলমার্ক চিহ্নি ও স্বাস্থ্যবিধি মূলক দিকনির্দেশনা দেন।
এসময় ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০.০০ টা থেকে বিকাল ০৪.০০ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ফেরীওয়ালা/অস্থায়ী দোকানপাট বসানো যাবেনা।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে,
প্রতিটি দোকানে প্রবেশ, বাহির ও কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে ১ মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যতজন ক্রেতা অবস্থান করতে পারেন তার বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবেনা।
প্রতিটি দোকানের প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরিধান ব্যাতীত কোন ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেনা। সকল বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস্ পরিধান করতে হবে।
কেনা-কাটা শেষে মার্কেটে অযথা জটলা বা ভীড় সৃষ্টি করা যাবে না। যাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে যাবে তাদের দোকান থেকে বের করে দেয়া।
এসময় সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলুর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করে ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন আপনি তো করুনা যোদ্ধা আপনি দায়িত্ব সহকারে প্রতিদিন বিশেষ করে ঈদ পর্যন্ত কাপড়ের দোকান গুলোতে বিশেষ নজরদারি রাখবেন এবং কোন অনিয়ম বা মানুষের জটলা হলে সেখানে সতর্কতা করবেন অথবা আমাকে জানাবেন, দেশটি আমাদের সকলের আর সকলের সহযোগিতার মাধ্যমেই করোনা সংকট কেটে উঠা সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাহীন মিয়া, ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম, সুমেল আহমদ চৌধুরী, শিলু আহমদ, আক্তার আহমদ, আনোয়ার হোসেন, কবির আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য এর আগে উপশহরস্থ ডি-ব্লক মেইন রোডের ১১নং বাড়িতে করুনা রুগী শনাক্ত হওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষনাত শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, স্থানীয় ২২নং ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ অত্র বাসাটি লকডাউন করা হয়।