অনলাইন নিউজ ডেস্ক: যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পরে বিপুল হোসেন (৪০) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে এলাকার বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর ধারনা, মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে হত্যা করা হয়েছে বিপুলকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানায় বিস্তারিত জানালেও অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি ভুক্ত করেনি পুলিশ।
বিপুল উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের বড় কাকুড়িয়া গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শিমুল হোসেন ও নিহতের ভাই লিটন জানান, বিপুল কৃষি কাজের পাশাপাশি গরু কেনাবেচার কাজ করত। তার আবু সামার স্ত্রীর ফুলবানুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। গত বুধবার বেলা ১০টার দিকে বিপুলকে বাড়ি থেকে গরু কেনার কথা বলে মটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় ফুলবানুর জামাই একই গ্রামের রিজাউল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
পরে বিপুলের খোঁজ না পেয়ে রফিকুলের কাছে বিপুলের পরিবারের জানতে চাইলে বলা হয়, গরু কিনতে বাজারে গেছে, হয়তো চৌগাছায় আছে।
বিপুলকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ইউপি সদস্য শিমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে চৌগাছা থানায় গিয়ে নিহতের ভাই লিটন বাদি হয়ে পরকীয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে রফিকুলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এবং বিষয়টি থানায় ডায়েরি করার জন্য অনুরোধ করেন। তখন চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক কারো বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ না দিয়ে আরও খুঁজাখুজি করার পরামর্শ দেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি গ্রামে গিয়ে তদন্ত করে আসেন। তবে থানায় জিডি এন্ট্রি করেন নি।
শুক্রবার ভোররাতে একটি অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে নিহতের শ্বশুর আমজাদ হোসেনের মোবাইলে কল দিয়ে বলা হয় তোমার জামাইয়ের লাশ বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের পাশে রাস্তায় বস্তাবন্দি পড়ে রয়েছে। শুক্রবার খুব সকালেই পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে।
চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক মোবাইল ফোনে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রামে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি।
তবে ইউপি সদস্য শিমুল হোসেনের দাবি, পরকীয়ার ঘটনা বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে রফিকুলের নাম উল্লেখ করে চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। সেসময় আমরা ৪/৫ জন থানায় উপস্থিত ছিলাম।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজীব বলেন, কিভাবে হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।