সৃষ্টির পা ধরে গন্তব্য খুঁজতে খুঁজতে
একদিন- তোমার কাছে পৌঁছুলাম
তুমি আমায় ঘাস ফড়িং এর গল্প শোনালে
শোনালে পাখি এবং প্রত্যয়ের কথা
আমার নাম না’জানা শাব্দিক সীমানায়
তখন সন্ধ্যা ছুঁইছুঁই ঘড়ির কাঁটা
তবু মনোযোগী ছাত্রের মতন আধো-আলো
কল্পনায় এই প্রথম খুঁজতে থাকি ভোরের
জার্নাল, তোমার অরুন্ধতী বুকে —
অথচ এমন হারিয়ে পাওয়া জলের
জ্যোৎস্নায় কখনো রাখিনি বিশ্বাস, হিম হয়ে আসা সরীসৃপ প্রেমে চিবুক খয়েছি কেবল দিগন্ত সীমারেখা—
আমার অনুতপ্ত বুকে আগুন জ্বালেনি
সেদিন শুভ্রতার খেয়ালি বারুদ —
অথচ সেই আমার অবেলা চরণ পরম যত্নে
তুলে নিলো জলের বুদ্ বুদ
গুঁজে নিলো স্রোতের কোমরে দুঃসহ ছুটছুটি
অবহেলার নাভিকুণ্ডে ফুটতে থাকা জলের স্ফুটনাঙ্কে নাম লিখে দিলো নিজের–
কী অদ্ভূত উপহার সময়ের
নিতান্তই ভিজতে চেয়ে উল্লাসী মন
তাতিয়ে তুললো রৌদ্দুরের প্রথম আকাশ
পোয়তি মেঘের পরিণত প্রাণে ডুবিয়ে দিয়ে
ঘাস ফুলের নির্যাস আবার আতিথ্য
আলিঙ্গনে বরণ করলো যোজন মাইল
দূরত্বের পরিধি–