সিলেট থেকে সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু:বন্ধু মানেই সব। বন্ধুদের নিয়েই জীবন। আড্ডা জমে না বন্ধুহীনে। বন্ধুদের নিয়ে জড়িয়ে আছে আবেগ। জীবনের এক অধ্যায়ে তাদের গল্পই জুড়ে থাকে। আর সেই বন্ধু যদি স্কুল জীবনের তাহলে আর সেই বন্ধুদের নিয়ে কোনো কথাই হয় না। জীবনগাড়িতে সেই বন্ধুরাই অনেক সময় চালক হয়ে দাঁড়ায়।
তবে জীবনের এক সময় তাদের হারাতে হয়। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে এক সময় তারা অনেক দূরে চলে যায়। কিন্তু সেই স্মৃতিই থেকে যায়। তাড়া করে কবে দেখা হবে সেই বন্ধুদের সাথে। যাদের নিয়ে ক্লাস,মাঠ, খেলা, আড্ডার স্মৃতি গেঁথে থাকে মনে।
এই ডিজিটাল দুনিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই বন্ধুদের মিলিয়ে দেয়। সহজ করে দিয়েছে বন্ধুদের স্কুল জীবনের স্মৃতিকে আরো রোমাঞ্চকর তুলে দিতে। এমনই হয়েছে ‘এসএসসি-৯৩ ব্যাচের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আমরা ৯৩-ব্যাচ’ নামের গ্রুপের মাধ্যমে সকল বন্ধুরা এক হয়েছেন।
সেই পুরনো স্কুল জীবনের স্মৃতি আরো মজবুত হয়েছে। আড্ডা-মাস্তিতে গ্রুপ ভরপুর হয়েছে। গ্রুপের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয় গেল বছর ঢাকার পূর্বাচল রিসোর্টে। এবার মহামারি করোনার কারনে বিশাল পরিসরে অনুষ্ঠান না করায় জেলাব্যাপী র্বর্ষপূর্তি পালন করা হয়।
এবছর শ্লোগান ছিল “সারা বাংলার বন্ধুরা চলো আজ এক সাথে হই, হাতে হাত রেখে চিৎকার দিয়ে বলি আমরা তিরানব্বই”। বুধবার নগরীর মিরের ময়দানে হোটেল ফার্মিস গার্ডেন মিলনায়তনে সিলেটের বন্ধুরা মিলিত হন। দীর্ঘদিন পর সকল বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে কলাকৌশল বিনিময় করেন। অনেকেই আবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সেই স্মৃতিগুলো যেনো মিলনায়তনে ফুটে উঠেছে।
আমরা-৯৩ সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক সুবেদুর রহমান মুন্নার সভাপতিত্বে এবং ফয়সল আহমদ বাবলুর পরিচালনায় অনুভ’তি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন মুশফিক জায়গীরদার, আব্দুর রকিব তুহিন, আব্দুর রকিব বাবলু, আব্দুস সামাদ তুহেল, রেজাউল করিম নাচন, শেখ দেলওয়ার হোসেন, চৌধুরী আমির মোহাম্মদ আমিন, আলমগীর কবির মুন্না, মোজাহিদ আহমদ, প্রতাপ চৌধুরী, কাশমির রেজা, মিফহতাহ উদ্দিন, উজ্জল আহমদ, নাজিম উদ্দিন, বেলাল আহমদ প্রমুখ।