মুহিবুর রেজা টুনু সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুনুই জলমহাল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শ্যামা চরন বর্মন হত্যা কান্ডের ঘটনায় মোহনগঞ্জের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের জড়িত থাকার অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের দাবী প্রায় ১৫ দিন পুর্বে মোহনগঞ্জের কিছু সন্ত্রাসী ধর্মপাশা এসে সুনুই জলমহাল রাতের আধারে দখলের চেষ্ঠা করেছিল। পরে স্থানীয় বাজারে সাধারন জনগন ধরে পুলিশে দিয়েছিল। এ চক্রই শ্যামা চরন বর্মন হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। সুনুই সমিতি’র সদস্য সুবল বর্মণ জানান, মোহনগঞ্জের মিষ্টু, সুশেন, রব্বানী, কায়ুমসহ একটি সিন্ডিকেট শ্যামা চরন বর্মন হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। ধর্মপাশা উপজেলার জামালপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা, নওদার গ্রামের রিপন মিয়া জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিংয়ে ছিলেন। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই একটি প্রভাবশালী মহল ষড়যন্ত্র করছে। এছাড়া চন্দন বর্মনের সাথে মোহনগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন জলমহালের সাথে শেয়ার আছে। তারা নিজেরা নিজেরাই আভ্যন্তরিন দ্বন্ধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্ঠা করছে। পাইকরহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান বলেন, এখানে সুবল বর্মন ও চন্দন বর্মন পৃথক দুটি সমিতি’র বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা চেয়ারম্যান ডিসি অফিসে মতবিনিময় সভায় ছিলেন। তিনি থাকার তো প্রশ্নই উঠেনা। উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকন বলেন, আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিং এ ছিলাম। পরে সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নির্বাচনে নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করি এবং রাতে বাড়ি ফিরি। ঘটনার সময় আমি এলাকায়ই ছিলাম না। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল অপপ্রচার করছে। আমি নিজেও শ্যামা চরন বর্মন হত্যা কান্ডের জড়িতদের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাই। ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এ পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপুর্বক হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।