সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু সিলেট ::সিলেট ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্য ভূমিতে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে ‘সিলেটি শান্তি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন’ নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সিলেট সিটি কর্পোরেশনে বৈঠকের পর পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নগরীর চৌহাট্টায় গাড়ি স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিক ও সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গত (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর হয়। উক্ত ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন সিলেট জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (১৪১৮)। এবিষয়ে সিসিক কার্যালয়ে গতকাল রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সিসিক মেয়র-কাউন্সিলর, সিলেটের রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিবহন শ্রমিকরা শর্তসাপেক্ষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
‘শর্তগুলো’ হচ্ছে- ১৭ ফেব্রুয়ারী সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত ৩টি মামলা প্রত্যাহার, ভাঙচুরকৃত গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ ও গাড়ি রাখার জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া।
বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মামলাগুলো প্রত্যাহারে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন এবং অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করবেন বলেও জানান। এছাড়া গাড়ি রাখার জন্য ইতোমধ্যে সরকারি জায়গা দিতে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলে জানান। তবে গাড়ি রাস্তায় রাখা যাবে না বলে শ্রমিকদের জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে, যে কোনো ইস্যুতে যখন-তখন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে শান্ত সিলেটকে অশান্ত না করতে পরিবহন শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান বৈঠকে উপস্থিত সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় ফুটপাত থেকে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ নিয়ে (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ঘটে। এতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর-পুলিশ ও পরিবহন শ্রমিকসহ অন্তত: ১৫ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় প্রায় অর্ধশত গাড়ি। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজনকে আটক করে পুলিশ। উক্ত ঘটনায় (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ২টি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী বাদী হয়ে আরও ১টি মামলা করেন।