নতুন আলো অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট:: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুসলিমদের গণহত্যা, ঘর বাড়ী উচ্ছেদ, মসজিদ ভাঙচুর, বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ এবং নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার প্রতিবাদে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিক্ষোভ ও সমাবেশকালে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২জন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বুড়িরচর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য ও মুসল্লিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় হাতিয়ার চৌমুহনী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে স্থানীয় মুসল্লিরা। মিছিল শেষে মুসল্লিরা চৌমুহনী বাজারের সড়কের উপর এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। এতে স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় মুসল্লিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে হাতিয়া থানা পুলিশের এক এসআই’সহ চার পুলিশ সদস্য এবং আট মুসল্লি আহত হয়।
মুসল্লিদের ইটের আঘাতে পুলিশের ব্যবহৃত ভাড়া একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৮ মুসল্লিকে আটক করেছে পুলিশ।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের মানবজমিনকে জানান, স্থানীয় মুসল্লিরা মোদি বিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল করার পর সড়ক দখল করে সমাবেশ করার চেষ্টা করে। পরে তাদের সড়ক ছেড়ে দেয়ার জন্য বললে পুলিশে ওপর হামলা করে তারা। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।