ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শিগগিরই ‘যুদ্ধবিরতির’ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি তিন ধাপে বাস্তবায়ন হবে। তৃতীয় ধাপে স্থায়ীভাবে গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে ইসরায়েল- এমন নিশ্চয়তা দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ‘আল কুদস’ সহ অন্যান্য আরব সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। শিগগিরই গাজার শাসক গোষ্ঠীটি এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদস জানিয়েছে- আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
তবে কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আল-শারক জানিয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামাসের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার ঘোষণা আসতে পারে।
আল-শারক হামাসকে বরাত দিয়ে বলেছে, “মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারী ভাইদের সাথে সাম্প্রতিক যোগাযোগের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য হামাস প্রতিনিধিদল শনিবার সকালে কায়রোতে যাওয়ার কথা।”
গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে জাতীয় ঐকমত্য অর্জন এবং উপত্যকার পুনর্গঠন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অতি সম্প্রতি মিশর, কাতার, ইসরায়েল এবং হামাস যুদ্ধিবিরতি চুক্তিতে বন্দি মুক্তি পাওয়ার সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করেছে।
আল-কুদসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চুক্তির তৃতীয় ধাপে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চয়তাও পেয়েছে হামাস।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হামাস আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন নেই বলে একমত হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে- এখনও সিনিয়র ইসরায়েলি সেনা অফিসারদের জিম্মি করে রেখেছে তারা। পরবর্তীতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনায় তাদেরকে ব্যবহার করা যাবে।
তবে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির ফলে গাজার রাফা আক্রমণ স্থতিগের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষ বাহিনী (আইডিএফ)।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমকে আইডিএফ জানিয়েছে, “রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি থাকুক কিংবা না থাকুক, ইসরায়েলি সেনারা রাফায় প্রবেশ করবে এবং সেখানে অবশিষ্ট হামাস ব্যাটালিয়নগুলোকে নির্মূল করবে।”