নিজস্ব প্রতিবেদক :: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাজ্যে অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকেও দেশে থাকা কর্মহীন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়িয়েছে লন্ডস্থ বড়লেখা ফাউন্ডেশন। ফউন্ডেশনের সদস্যরা এমন সব মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন যাদের অনেকই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর, যারা চরম এ দুর্দিনে না পারছেন কারো কাছে হাত পাততে, না পারছেন ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে। রোববার সংগঠনের দেশে থাকা প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উপজেলার ৬৫০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে লন্ডস্থ বড়লেখা ফাউন্ডেশন।
জানা গেছে, বড়লেখা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্কাউটস বয়েস এবং গার্লস সদস্যদের সহযোগিতায় প্যাকেট করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে চাল, মশুর ডাল, পেঁয়াজ, তেল, সাবান ও আলু। রোববার সকাল ১১টায় বারইগ্রামে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেটগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে জেলা পরিষদ সদস্য আবু আহমদ হামিদুর রহমান শিপলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান, বিয়ানীবাজারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম হাছনা, থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক, জেলা পরিষদ সদস্য জোবায়েদা ইকবাল, নিজ বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, দাসেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন, সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান নছিব আলী, তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, পৌরসভার কাউন্সিলার কবির আহমদ, সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপন, লিটন শরীফ, বড়লেখা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের বাকের আহমেদ, মাহবুবুর রহমান, হুমায়ুন রশিদ, শরীফ উজ্জামান, তাহের আহমেদ, বিপ্লব দাস প্রমুখ।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুহেল রহমান, সেক্রেটারি আবু রহমান এবং সহ সভাপতি অধ্যাপক সফিকুল হক স্বপন মুঠোফোনে বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যেও আমরা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছি। দেশে আমাদের এলাকার অনেক মানুষ করোনা সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের সহায়তার জন্য ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সংগঠনের সদস্যদের আহ্বান করেছিলাম; কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। কম সময়ের মধ্যেই ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যসহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বড়লেখার মানুষ এ আহ্বানে আন্তরিকভাবে সাড়া দেন। আমরা প্রথম দফায় ৬৫০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি।’