জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::সুনামগন্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া খাজা গরিবে নেওয়াজ দরবার শরীফ কর্তৃক আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন উপলক্ষে গতকাল ২৬ নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার হাজী মছদ্দর মিয়ার সভাপতিত্বে ও দরবার শরীফের একনিষ্ট খাদিম নাজমুল ইসলাম রেজা, হাফিজ খালেদ, জুয়েল আহমদের যৌথ পরিচালনায় বাদ আসর থেকে শুরু করে মদ্ধরাত পর্যন্ত ওয়াজ, জিকির ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খাজা গরিবের নেওয়াজ দরবার শরীফ নরসিংদীর পীর সাহেব খাজা সোহরাব হোসাইন খান চিশতী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইকড়ছই সিনিয়র মাদ্রাসার আরবী শিক্ষক মাও: মফিজ উদ্দিন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাও: তাজুল ইসলাম জামালগন্জী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাও মুফতী রফিক উদ্দিন, মাও: হাবিবুর রহমান মুন্সি সহ স্থানিয় আলেম উলামা।
এতে উপস্থিত ছিলেন চিলাউড়া গ্রামের শালিস ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ শাহিদুল ইসলাম বকুল, রসুলপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী আনোয়ার মিয়া সাবেক মেম্বার, বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোসারফ হোসেন, শালিস ব্যক্তিত্ব হাজী সুনা মিয়া, নুর মিয়া মেম্বার, তরুন সমাজ সেবক ও রাজনীতিবীদ আবুল হাশিম ডালিম, মালেক মিয়া, তরুন সমাজ সেবক তাজ উদ্দিন, দরবার শরীফের মুরিদান ভক্ত আশেকান বৃন্দ সহ ধর্মপ্রান মুসলিম জনতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাজা গরিবে নেওয়াজ দরবার শরীফ ভৈরবের পীর সাহেব খাজা সোহরাব হোসাইন খান চিশতী বলেন রবিউল আওয়াল মাস সব মাসের সেরা মাস যে মাসে পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের প্রিয় হাবিব দুজাহানের সর্দার নূরে মুজাচ্ছাম সকল নবীদের নবী, সৃস্টিকুলের মুল আমার আপনার নয়নের মনি হজরত মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম।তিনি আমার আপনার জন্যে রহমত বরকত, তিনি আমার আপনার পথ প্রদর্শক। খাজা সোহরাব হোসেন আরও বলেন আমার প্রিয় নবীর জন্ম না হলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন আরশ কুরশি, ফেরেস্তাকুল, মানবকুল, পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না, মহান রবের সৃস্টির মদ্ধো আমার আপনার নবী সব থেকে সম্মানিত তাইত সকল মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা।খাজা সোহরাব হোসাইন খান তার বক্তব্যে আরও বলেন মানবজাতির জন্ন্যে শিক্ষা দু ধরনের দুই প্রকার একটা হচ্ছে কাগজে কলমে জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জন করা চর্চা করা, আরেকটা হচ্ছে নিজেকে নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করার জন্ন্যে জ্ঞান অর্জন করা।নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান হিসাবে গড়ে তুলতে হলে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে নিজের আত্মাকে সহিশুদ্ধভাবে গড়ে তুলতে হবে, নিজেকে নিজের আত্মাকে সহিশুদ্ধভাবে গড়ে তুলতে হলে একজন কামিল পীর মুর্শিদের সরনাপন্ন হতে হবে কামিল পীর মূর্শিদের কাছ থেকে আত্মশুদ্ধির জ্ঞান চর্চা করতে হবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে, কামিল পীর মুর্শিদ ছাড়া কোন কালেই নিজেকে নিজের আত্মাকে পরিপূর্ণ ভাবে সহিশুদ্ধ করা যায়না যাবেনা। তাইত আমার আপনার সকলের একজন কামিল পীর মূর্শিদের প্রয়োজন।আসুন আমি আপনি কামিল পীর মূর্শিদের কাছে বায়াত গ্রহন করে নিজেকে একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান হিসাবে গড়ে তুলি, নিজের আত্মাকে সহিশুদ্ধ ভাবে গড়ে তুলি।তিনি সকল মুসলমানদের সিরাতাল মুসতাকিমের পথে আহলেসুন্নত ওয়ালজামাতের পথে পীর মাশায়েদের পথ অনুসরন করে চলার আহবান জানিয়েছেন।মাহফিলে জিকির ও মিলাদ অনুষ্টিত হয়েছে।জিকির ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন খাজা রুমেন হোসেন চিশতী পীর সাহেব খাজা গরিবে নেওয়াজ দরবার শরীফ চিলাউড়া।মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও: মুফতী রফিক উদ্দিন। মেনাজাতে দেশ ও দেশের মানুষের শান্তিকামনা করে, সকল মুর্দেগানদের কবরের জিন্দেগীর শান্তিকামনা করে, দরবার শরীফের মুরিদান সকল ভক্তবৃন্দের সুখশান্তি দীর্ঘায়ূ কামনা করে বিশেষ মোনাজ করা হয়েছে।