1. bnp786@gmail.com : editor :
  2. sylwebbd@gmail.com : mit :
  3. zia394@yahoo.com : Nurul Alam : Nurul Alam
  4. mrafiquealien@gmail.com : Rafique Ali : Rafique Ali
  5. sharuarprees@gmail.com : Sharuar : Mdg Sharuar
  6. cardgallary17@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

সুনামগন্জে কল্লোলের বদলির পরের দিনই শুরু অনিয়ম ও দুর্নীতি হাসপাতালের মালামাল চুরি

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

 

এম রেজা টুনু সুনামগন্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ কল্লোলের বদলির পরের দিনই শুরু হয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতি। সিভিল সার্জন কল্লোল দায়িত্ব ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন হাসপাতালের নার্স রহিমা বেগম ও ওয়ার্ড বয় সোহাগ মিয়া। নতুন ২৫০ শয্যা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ব্যবহৃত জিনিসপত্র পাচারের সময় ধরা পড়েন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের পাশে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। কিছুক্ষণ পর তারা দেখেন ওয়ার্ড বয় সোহাগ নতুন হাসপাতাল থেকে দুটি বালিশ, দুটি বেড-শিট এবং দুটি কম্বল নিয়ে বাইরে যাচ্ছেন। তারা সোহাগকে আটক করে জিনিসপত্র কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন জানতে চান।

এসব জিনিসপত্র নার্স রহিমা বাইরে রেখে আসতে বলেছেন বলে জানান সোহাগ। এ সময় নার্স রহিমা বেগম বাইরে এসে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একই সঙ্গে সরকারি জিনিসপত্র কোথায় নিচ্ছি আপনাদের বলতে বাধ্য নই বলে জানিয়ে দেন নার্স রহিমা বেগম।

অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. পারভেজ মিয়া বলেন, বিকেলে গাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা। হঠাৎ দেখি হাসপাতালের বালিশ, কম্বল ও বেড-শিট চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্ড বয় সোহাগ। এ সময় তাকে আটকে জিজ্ঞাসা করি এসব জিনিস কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। তখন সোহাগ ফোন দিলে নার্স রহিমা এসে আমাদের বকাঝকা শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাম্বুলেন্স চালক রুবেল আহমদ বলেন, ওই ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয় সরকারি হাসপাতালের জিনিসপত্র বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। সরকারি জিনিসপত্র বাড়িতে নেয়ার অনুমতি কে দিয়েছে জানতে চাইলে নার্স রহিমার কথা জানায়। এ সময় নার্স এসে বলেন এসব জিনিসপত্র এসপির বাংলোয় পাঠাব নাকি আমার বাড়িতে পাঠাব তোমাদের জানার কি দরকার।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড বয় সোহাগ বলেন, একজন আয়া এক নার্সের কাছ থেকে কম্বল, বেড-শিট এবং বালিশ নিয়ে আমার হাতে দিয়ে বাইরে নিয়ে যেতে বলেন। নার্স রহিমা বেগম এসব জিনিসপত্র দুদিনের জন্য আরেক নার্সকে দিতে বলেছেন। ওই নার্সের সমস্যা থাকায় রহিমা আপা আমাকে এগুলো নিয়ে যেতে বলেছেন।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে স্থানীয়রা বিষয়টি জানিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এসব জিনিসপত্র ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আগামীকাল নার্সদের নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করব আমরা।

এ ব্যাপারে হাসাপাতালের ডেপুটি সিভিল সার্জন আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যদি এমন কিছু হয় তাহলে সেটি অন্যায় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ডিও লেটারের সুপারিশের মাধ্যমে বদলি আদেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ কল্লোল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ২০ দিনের মাথায় সিভিল সার্জন কল্লোলকে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তার বদলির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই এমন ঘটনা ঘটালেন নার্স রহিমা।

Comments are closed.

এই ধরণের আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
২,০৩৮,০১৪
সুস্থ
১,৯৯৮,৪৪৮
মৃত্যু
২৯,৪৪৬
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
© All rights reserved © 2021 notunalonews24.com
Design and developed By Syl Service BD