নতুন আলো অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট:: নাটোর সদরে হাতে একটি ব্যাগ ও সঙ্গে দুটি বস্তা নিয়ে ঘুরছিলেন অমল সরদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। তাদের খবরে পুলিশের একটি দল ওই ব্যক্তিকে তল্লাশি চালিয়ে তাজ্জব বনে যান।
তার ব্যাগ ও দুই বস্তা ভর্তি মৃত বাদুড় পাওয়া যায়।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের সদর উপজেলার চাঁদপুর এলাকা থেকে মৃত বাদুড়সহ অমল সরদারকে হাতেনাতে আটক করেন ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা।
পরে অমলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিনা খাতুনের সামনে হাজির করা হলে তিনি তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
অমল সরদার যশোরের চৌগাছা উপজেলার কংসাদিপুর গ্রামের মৃত সূর্য সরদারের ছেলে।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, সংবাদ পেয়েই নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালাই আমরা। অমল সরদারকে দুই বস্তা ও একটি ব্যাগসহ আটক করি। বস্তা ও ব্যাগভর্তি মৃত বাদুড় পাই। বাদুড় শিকার করে মেরে সেগুলোকে বিক্রি করতে ফেরি করছিল সে। জিজ্ঞাসাবাদে অমল জানিয়েছে, এসব বাদুড় তিনি আদিবাসী লোকজনের কাছে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। তারা বাদুড়গুলো খাওয়ার জন্য ক্রয় করে। আটক বাদুড়গুলো মাটিতে গর্ত করে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে মাটিচাপা দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিনা খাতুন বলেন, এভাবে নির্বিচারে বাদুড় হত্যার অপরাধে অমল সরদারকে ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৩৪(খ) ধারায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছি।