নতুন আলো অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট:: পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ কে এম এ আউয়ালের জামিন নিয়ে নাটকীয়তার প্রেক্ষাপটে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, পিরোজপুরের ঘটনা প্রমাণ করে দেশের বিচার বিভাগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। গতকাল বুধবার আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় গত মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সকালে পিরোজপুরের সাবেক সাংসদ এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নান।
আদেশের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও আইনজীবীদের বিক্ষোভের মধ্যে বিচারক মো. আবদুল মান্নানের বদলির আদেশ আসে এবং তিনি তার দায়িত্ব দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ নাহিদ নাসরিনকে হস্তান্তর করেন। পরে আসামিপক্ষ আগের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে বিকেলে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন আবেদন মঞ্জুর করে দুজনকে দুই মাসের জামিন দেন।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে কথাটা সব সময় বলে এসেছি, বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার, এটাই তার প্রমাণ। কারণ পিরোজপুর আওয়ামী লীগের সভাপতিকে যখন দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় ভেতরে বা কাস্টডিতে নিতে বলেছেন আদালত, তখন যে অবস্থার সৃষ্টি করা হয়, বাধ্য করা হয়েছে আদালতকে কয়েক ঘণ্টা পরে জামিন দিতে। এ ঘটনা প্রমাণ করে এ দেশে আইনের শাসন নেই। এখানে বিচার বিভাগ যে স্বাধীন নয়, সেটা আরেকবার উলঙ্গভাবে প্রমাণিত হলো। ’
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে বিএনপির অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘উনি যে কথাগুলো বলেন, সেগুলোকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিতে চাই না। মুজিববর্ষের সঙ্গে মোদি সাহেবের আসার সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক এটা যে তিনি এই মুজিববর্ষেই আসছেন।
আমরা যে কথাটা বলছি যে তার (মোদি) দেশে যেভাবে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করা হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, সে বিষয়েই আমরা কথা বলছি। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, সেক্টারগুলোÑ তারা এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং তারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তার এই সময়ে আসাটা কতটুকু শোভনথসেটাই আমরা প্রশ্ন রেখেছি। ’
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, ফরহাদ হোসেন আজাদ প্রমুখ।