জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:বৈশ্বিক মহামারি করোনা কোভিড -১৯ এ সমগ্র পৃথিবী লক ডাউনে গৃহ বন্দী । বিদেশে দেশে সবাই কোন না কোন ভাবে মানসিক এবং আর্থিক সংকটে দিনপাত কাচাচ্ছেন ।
সংকটকালীন সময়ে প্রতিদিন ই ফোনে/ ভিডিও কলে খোঁজ খবর আদান প্রদান করার প্রাক্কালে সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা (ব্যাচ : ১৯৯৬-১৯৯৭ ) বিশেষ করে জন্মভুমি বাংলাদেশে যেখানে নাড়ীগাঁথা প্রিয় সৈয়দপুর , বুধরাইল , তেঘরিয়া , এবং সুনাতনপুরের সকল মাদ্রাসা , মসজিদ -মোয়াজ্জিন , বেসরকারী স্কুল , এবং কিছু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে সামান্য আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়ানোর উদ্যোগ নেন ।
কার্যক্রম কে সফলতা দিতে কয়েকজন বন্ধু একমত পোষনের তারি ধারাবিকতায় সমগ্র ইউকে , ইউএসএ এবং অন্যান্য দেশে অবস্হান কারী উভয় ব্যাচের সকল বন্ধু বান্ধবদের জানিয়ে সবার স্বত্স্ফুর্ত সহযোগীতা মিলে। সাথে মিলে সম্মানিত গুরু জনের অনেকেই তাদের আর্থিক সহযোগীতা সহ উৎসাহ দান করেন ।
প্রথম ধাপে ,
আমরা ২৯ টি মসজিদ এর ইমাম এবং মোয়াজ্জিন বাবদ গিফট অনুদান দেই প্রতিজন কে ৩০০০ টাকা করে । জেনে আনন্দিত হবেন যে , এখানে উদ্যোগতারা ইনাথ নগর জানে মসজিদ কে ও আওতাভুক্ত করেছেন ।
এ পর্যায়ে তারা ১৪০ জন নিম্ন মধ্যবিত্ত প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক গিফট অনুদান করেন । প্রতিটি পরিবার পেয়েছেন ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত করে ।
দ্বিতীয় ধাপে , তাদের কার্যক্রমে আসছে – মাদ্রাসা এবং স্কুল শিক্ষক কে আর্থিক গিফট অনুদান ; যেখানে আমরা ৯ টি মাদ্রাসায় দিচ্ছেন ১৫০০০ টাকা থেকে ২৫০০০ টাকা করে প্রতিটিতে ।
তৃতীয় ধাপে , ৩ টি বেসরকারী স্কুল ১৫০০০ টাকা থেকে ২৫০০০ টাকা করে প্রতিটিতে ।
সর্বশেষে উদ্যোগতারা অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন যারা দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে আমাদের এই মহতি কাজ কে সম্পন্ন করতে অর্থাৎ আমাদের গিফট অনুদান প্রাপকের কাছে পৌছাতে সহযোগীতা করেছেন এবং ইউকে ইউএস এ অবস্হান কারী ১৯৯৬-১৯৯৭ অতি চমৎকার মনের সব বন্ধুরা যারা আন্তরিক ভাবে সহমত পোষন করে সকল ভিন্ন মতের উর্ধে থেকে দেশের প্রিয় জনের কথা ভেবে আর্থিক সহযোগীতার পাশাপাশি সময় এবং শারিরীক শ্রম দিয়েছেন ।
উল্লেখ্য যে আর্থিক গিফট অনুদান সর্ব সাকুল্য ৬০০০০০ ছয় লক্ষ বাংলাদেশী টাকা ।