নিজস্ব প্রতিনিধি:সাচায়ানী নন্দীর গাঁও ব্রিটিশ বাংলা এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বার্মিংহামের স্থানীয় রেস্টুরেন্টে গতকাল মঙ্গলবার এক ঈদ পুর্ণমিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ গৌউছ উদ্দিন FCot, সভা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ আব্দুল কবির।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ রাজা মিয়া প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হযরত আবোবক্কর (রাঃ) সুন্নি দাকিল মাদ্রাসা , বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ ফোলজার আহমদ সাবেক লড মেয়র ।
শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মোহাম্মদ ফজর আলী সাদ্দেক।
এই মহামারি করোনাভাইরাসে দীর্ঘ লকডাউনের পর,ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত সকলের উপস্থিতিতে এক মিলন মেলায় পরিণত হয় যেন ছোট্ট সাচায়ানী নন্দীরগাঁও।
সাচায়ানী নন্দীরগাঁও ব্রিটিশ বাংলা এসোসিয়েশনের সকলের আলোচনার মাধ্যমে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয় ।
উক্ত কমিটির নির্বাচিতরা হলেন::
সভাপতি শাহ্ মোং আব্দ সহিদ, সাধারণ সম্পাদক মোং আব্দুল কবির , সহ সাধারণ সম্পাদক মোং রুমেন আহমদ, কোষাধক্ষ্য আফসার আহমদ লাহিন সাংগঠনিক সম্পাদক মোং রিপন মিয়া,
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাচ্ছু মিয়া,ক্রিড়া সম্পাদক মোং সুরুক মিয়া।
সদস্য-
মোহাম্মদ আব্দুল করিম( সাবেক মেম্বার), শাহ্ মোং ছালা উদ্দিন টিপু, শাহ্ মোং আলী হোসাইন , শাহ্ মোং সেলিম উদ্দিন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলসেলিম ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ আলীমান হাসান , মোহাম্মদ সাজিদুর রহমান , আব্দুল ওয়াহিদ সেবুল প্রমুখ।
সংগঠনের সম্মানিত ট্রাস্টি হলেন – যথাক্রমে সর্ব জনাব মোহাম্মদ গৌউছ উদ্দিন FCot,, আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ রাজা মিয়া, মোহাম্মদ ফোলজার আহমদ, মোহাম্মদ আব্দুল নুর, মোহাম্মদ ফজর আলী (সাদ্দেক) মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন,মোহাম্মদ কমরু মিয়া, মোহাম্মদ বাবুল মিয়া, শাহ্ মোং আনোয়ার হোসেন , ডাক্তার মোহাম্মদ রুপ আলী,মোং মানিক মিয়া ও মোং মাসুক মিয়া প্রমুখ।
উপস্থিত সবার আলোচনার ভিত্তিতে
কমিটির মেয়াদ তিন বছর করা হয় এবং তিন হাজার পাউন্ড ফানরাইজিং করা হয়। মেম্বারশিপ ওপেন রাখা হয় যে কেউ চাইলে সংগঠনের সাথে ফরম পুরনের মাধ্যমে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। অনুষ্ঠানের শেষে ডিনার ও চা-চক্রে মাধ্যমে একে অন্যের সাথে কুশল বিনিময় করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন আর্তমানবতার লক্ষে গঠিত সাচায়ানী নন্দীরগাঁও ব্রিটিশ বাংলা এসোসিয়েশন ট্রাষ্ঠ যেন আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যেতে পারে ।বক্তারা আরও যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ফলে সামাজিক অপরাধসমূহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সামাজিক বন্ধনও সুদৃঢ় হবে। কারণ মানবতার কল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তিরা সামাজিক অপরাধ করতে পারে না।