#বিষণ্ণ_সুন্দর_হে_নিঃসঙ্গতা#
——————————————
#জহিরুল_হক_বিদ্যুৎ
(অক্ষরবৃত্ত অমিল মুক্তকছন্দ)
উৎসুক রৌদ্ররা বারবার ফিরে গেছে
তোমার উদ্বায়ী জানালার চতুর ঘনকুয়াশা থেকে;
এসেছিল কত বসন্তবাহার তোমার শকুন্তলার ছায়ে–
ওখানেও ঝরে গেছে বিশ্বাসের ফুল অসম্প্রীতির বন্ধনে।
সুখ আজ মর্ম খোঁজে বেওয়ারিশ চিলের ডানায়
জীবনের ঝড়োমুহূর্তরা ঝাপটে ধরে তুমিহীনা নিমিষেই,
নিন্দিত আর নন্দিত সুতোর টানাপোড়েনে
পাল ছিড়ে যায় ময়ূরকণ্ঠী সাম্পানের।
এলোপাথাড়ি ঘুরপাকে গিলে খায় উত্তাল সমুদ্র
আছড়ে পরে ধ্বংসের ফেনিল ঢেউ বালিয়াড়ি কূলে-
আকাশের সাঁকো ঐ মেলেছে ডানা
উড়ে চলা– আর উড়ে চলা অজানা গন্তব্যে–
মেঘের শরীরে লেগেছে আঁচড়
ঝরে পড়ে ভুলের বর্ষণ পুঞ্জিভূত কষ্টের ক্যানেলে।
কচুরিপানায় ভেসে চলা স্বপ্নভরা ফড়িংয়ের চোখ
তবু সুখ-দুঃখে কুহক জাগায় অনাগত সব দিন-রাত্রি,
ক্ষেপা প্লাবনের ঝড়ো হাওয়ায় নিরুদ্দেশ হলো মিনতি
বন্ধু হলো না কেউ— না ঐ বহতা নদী!!
নিঃসঙ্গ মানুষ, নিঃসঙ্গ সময় ছুটে যায় পরপারে–
প্রেমিক মন বুঝলো না তবু , পাথরে কভু ফোটে না ফুল।
স্মৃতির অনুরণনে বেজে উঠে সিম্ফনির কত শত সুর,
নিয়তিরা কানেকানে বলে যায়, ভুল সবি ভুল!!
আত্মাগুলো সঙ্গীহীন, ফিরে যায় অসীমের মাঝে–
হে বন্ধু! নিঃসঙ্গতাই প্রিয়রূপে জড়ায় শেষে বাহুবন্ধনে।
লেখক পরিচিতি
———————-
কবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, সম্পাদক ও সাহিত্য সমালোচক জহিরুল হক বিদ্যুৎ ১৯৭২ সালে ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের হাজারীবাগ থানার অন্তর্গত এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কবির গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার অন্তর্গত বরিয়াবহ গ্রামে। তার পিতা মরহুম কাজী মোঃ ইসহাক ছিলেন একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। কবি ১৯৮৬ ইং সালে বাংলাদেশ রাইফেল’স স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি(বিজ্ঞান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রাইফেল’স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ ইং সালে সিংগাইর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি(বিজ্ঞান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সহিত প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে তিনি বিএসসি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৯১-১৯৯৩ ইং শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স(১ম পর্ব) গনিত বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন কিন্তু বিশেষ কারণবশত ফাইনাল পরীক্ষায় আর অংশগ্রহণ করা হয়নি। পরবর্তীতে ‘ দি পিপল’স ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ এর উপর কৃতিত্বের সহিত স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। কবি কর্মজীবনে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত Arkay Group of Companies এর Co-ordination Manager হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে কবি নিজের ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। ব্যাক্তিগত জীবনে কবি বিবাহিত, স্ত্রী কবি ও গল্পকার মাহামুদা বেগম সিমু। দুই মেয়ে এক ছেলে নিয়ে কবির পরিবার।
*দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকাগুলোতে কবির স্বরচিত কবিতা ও লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে থাকে।
সম্মাননা ও পদক
————————-
*সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি এপেক্স ক্লাব অব রেনেসাঁ, এপেক্স বাংলাদেশ কর্তৃক সম্মাননা পদক -২০১৮ ও ২০১৯ প্রাপ্ত হন।
*জাকপ সম্মাননা পদক, প্রিসাপ সম্মাননা পদক, কেকেবি সম্মাননা পদক সহ বিভিন্ন সম্মাননা পদক পান।
*সাহিত্যমনা অনেক গ্রুপ থেকে কবিকে বিভিন্ন সময়ে কবিরত্ন, কাব্যজ্যোতি, কাব্যসেরা বিভিন্ন সম্মাননায় ভুষিত করা হয়েছে।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সমুহ
———————————
* জল জোছনা – একক কাব্যগ্রন্থ- মহাকাল প্রকাশনী-২০১৮
* স্বপ্নের যতিচিহ্ন -একক কাব্যগ্রন্থ-মহাকাল প্রকাশনী-২০১৯
*উপন্যাসের নাম- “নিঃশব্দ প্রতীক্ষা”- মহাকাল প্রকাশনী- ২০১৯
• অসংখ্য যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
• নিজ সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ – নক্ষত্রের আলোয়- মহাকাল প্রকাশনী- ২০২০