ডেস্ক রিপোর্ট::আজ ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এগারতম কারাবন্দী দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে তৎকালীন মঈন-ফখরুদ্দিনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে। পরের বছর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান মুক্ত হয়ে বর্তমানে ব্রিটেনে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার কারাবন্দীত্বের দিবস উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করছে।
ওয়ান ইলেভেনের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এই নেতা এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। তার সুস্থতা ও দেশে ফিরে এসে বিএনপির রাজনীতিতে হাল ধরার প্রত্যাশ্যায় রয়েছে দলটির সবপর্যায়ের নেতা-কর্মী। সম্ভাবনাময় এই জনপ্রিয় নেতার কারাবন্দী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে বিএনপি। এবারো নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি তারেক রহমানের কারাবন্দী দিবস পালন করছে। দলের পক্ষ থেকে বিশিষ্টজনের লেখা নিয়ে আজ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। কারাবন্দী দিবসে সারাদেশে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
তারেক রহমান তার পিতার অনুকরণ করে সারাদেশে অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি বিএনপিকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিনিধি সম্মেলন করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। তিনি সরাসরি বিএনপির নেতৃত্বে আসেননি। প্রথমে দলের সমর্থক, পরে কর্মী হয়ে ধীরে ধীরে দলের নেতৃত্বে আসেন। ২০০৭ সালে যখন গ্রেফতার হন তখন তিনি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। ২০০৯ সালে দলের কাউন্সিলে সর্ব সম্মতিক্রমে তাকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। সর্বশেষ কাউন্সিলেও তাকে একই পদে রাখা হয়। পদাধিকার বলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের বাবা।
বিএনপির অভেযোগ, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারেক রহমানকে গ্রেফতারের পর ১২ দফায় রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারও তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে রাজনীতি থেকে তাকে মাইনাস করার গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এরই মধ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অনুপস্থিতিতে বিচার করে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলেও এখন পর্যন্ত একটিরও প্রমাণ করতে পারেনি কোন সরকার।