ডেস্ক রিপোর্ট::৫৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। বড় কোনো ফুটবল আসরের ফাইনালে পৌঁছালো ইংল্যান্ড। তবে ইংলিশদের গৌরবের রাতের জৌলুস কিছুটা হলেও ফিকে করে দিল হ্যারি কেইনের নেয়া বিতর্কিত পেনাল্টি শট।
বুধবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের মহারণে নামে ইংল্যান্ড-ডেনমার্ক। মিকেল ড্যামসগার্ডের ছবির মতো ফ্রি-কিক থেকে ম্যাচের মাত্র ৩০ মিনিটেই এগিয়ে ডেনিশরা। তবে ম্যাচে সমতা পেতে মাত্র ৯ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় ইংল্যান্ডকে। ৩৯তম মিনিটে ডেনমার্কেও আত্মঘাতী গোলে স্কোরলাইন ১-১ হয়।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অমীমাংসিত শেষ হওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। ১০৪ মিনিটে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন পেনাল্টি থেকে গোল করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন।
ইংল্যান্ড ম্যাচটি জিতে নেয় ২-১ গোলে। তবে এই পেনাল্টি ঘিরেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ইংল্যান্ড উইঙ্গার রাহিম স্টার্লিং দুরন্তভাবে পেনাল্টি বক্সে বল নিয়ে গেলে জোয়াকিম মেইলা তাকে ফাউল করায় রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। ভিএআরও সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।
তবে হাইলাইটসে দেখা যায় মেইলা স্টার্লিং-এর তেমন কোন সংঘর্ষ তো হয়নি, উল্টো তাদের সংঘর্ষের আগেই ইংল্যান্ডের উইঙ্গার নিজের ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত হ্যারি কেইনের স্পটকিক কেস্পার স্মাইকেল প্রথমবার বাঁচিয়ে দিলেও ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন কেইন।
ইংল্যান্ডের এই জয়ে গোটা দেশ আনন্দে মাতলেও ফুটবলবোদ্ধারা পেনাল্টির সেই সিদ্ধান্তকে মানতে পারছেন না। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা মাইকেল সুয়ার্টের ঘটনাটিকে ‘চরম লাঞ্চনা’র আখ্যা দেন। কেউ কেউ আবার স্টালিংয়ের ‘ডাইভ’ নিয়ে ক্ষুব্ধ।
আরেক তারকা অ্যাথলেট নিকোলা ভুচেভিক টুইটারে লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের প্রাপ্ত পেনাল্টিটি এখনও আমার কাছে কৌতুক মনে হচ্ছে।’
এভারটন-ওয়েস্টহ্যামের সাবেক মিডফিল্ডার ডন হাটসিজন বলেন, ‘তারা হয়তো জয় ছিনিয়ে আনতে পারতো। তবে রেফারির এমন সিদ্ধান্তের উপর নির্ভও করে নয়।’