পিরোজপুর প্রতিনিধি :: কাঠমিস্ত্রি জাহিদুল ইসলাম টনিকে কে করা হয়েছে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। সে পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত।জেলার নাজিরপুর সদরের ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এক দোকানে শ্রমিক হিসেবে নিয়মিত কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে সে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আনছার আলী খানের ছেলে।
এ ঘটনায় নাজিরপুরসহ পিরোজপুর জেলাজুড়ে সংগঠনের মধ্যে পদবঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে , সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা যায় , গত ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং জেলা ছাত্রদলের ৩৪৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
এতে ৬৬ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়, কমিটির ২২১ নম্বর সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন জাহিদুল ইসলাম খান টনি।
নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শামিম হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন টনি কখনো ছাত্রদল করেননি। তাকে কিভাবে কমিটিতে রাখা হল আমার বোধগম্য নয়।
তিনি আরও বলেন টনি কে ছাত্রদলের কোনো সভা-মিছিলেও দেখা যায়নি। জেলা কমিটি আমাদের (উপজেলা) সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই কয়েকজনকে পদ দিয়েছে। এতে প্রকৃত ছাত্রদলের কর্মীরা পদবঞ্চিত হয়েছেন। এতে পোশাক শ্রমিক নজিরপুরের উজ্জ্বল হালদার এবং এনজিও কর্মী এসএম শরীফুল ইসলামকে যথাক্রমে দেওয়া হয়েছে গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ।
এ ব্যাপারে জাহিদুল ইসলাম খান টনি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমাকে কী কারণে পদ দেওয়া হয়েছে, তা জানি না। আমি বিএনপিকে মনে-প্রাণে ভালোবাসি। তবে আমার থেকেও অনেক অযোগ্যদেরও পদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা ছাত্রদলের জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি মো. তানজিদ হাসান শাওন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি কিভাবে বা কাদের লবিংয়ে জেলাজুড়ে এমন আরও কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিকে জেলা কমিটিতে স্থান দিয়েছে তা আমার জানা নেই।