ডেস্ক রিপোর্ট:: বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সরকার জনগণের পকেট কাটছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ।
করোনাকালে ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়েছে বলে তেলের দাম বাড়ালেন, কিন্তু করোনায় যে শ্রমজীবী মানুষের লোকসান হলো, তাদের বেতন বাড়ালেন না কেন- এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির হিসাবে গত এক বছরে দ্রব্যমূল্য গড়ে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু শ্রমজীবীদের কারও বেতন-ভাতা বাড়েনি।
এ সময় সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রসঙ্গ তুলে এই বিএনপি নেতা বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা জানাই। যারা জড়িত, তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আমরা বাধা দিই।
বিএনপি অসাম্প্রদায়িক দল উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশ নিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্র চলছে। যেখানে বিএনপির একটা ছোট কর্মসূচিতে এত পুলিশ থাকে, আর কুমিল্লার মন্দিরে কেন দু’জন আনসার সদস্য রাখা হলো না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, পেঁয়াজের দাম, মরিচের দাম, চালের দাম, তেলের দাম বাড়লে- এই সরকারের কী যায় আসে? বাংলাদেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ বাঁচল না মরল, তাতে তো তাদের কিছু যায় আসে না। সয়াবিন তেলের দাম একলাফে ৭ টাকা বেড়েছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে একলাফে তেলের দাম ৭ টাকা বৃদ্ধি অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু এ দেশে সম্ভব। কে এর প্রতিবাদ করবে? প্রতিবাদ করলে তো আপনাকে যেতে হবে শ্রীঘরে অথবা লালঘরে। এটাই হলো বাস্তব অবস্থা।