ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিবেদক:: নিজের মাকে হত্যার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার এক যুবক। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মাকে ই হত্যা করেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাঁর জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল ইসলামের আদালতে গতকাল সোমবার বিকেলে জমির খাঁ (৩৫) নামের ওই যুবক জবানবন্দি দেন। তিনি আখাউড়া পৌর এলাকার শান্তিনগর গ্রামের বাসিন্দা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মো. শাহীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত রোববার দুপুরে হত্যার ঘটনা ঘটে। জমির খাঁর স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে মোল্লা মো. শাহীন বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে দূর সম্পর্কের দাদা বজলু খাঁ ও তাঁর দুই ছেলে মাসুম খাঁ ও ইয়াসিন খাঁকে ফাঁসাতে নিজের মা জোহরা খাতুনকে (৭৮) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন জমির। দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে উঠে জমিরের পরিবার। আদালতের রায় পেলেও তাঁরা ভোগদখল করতে পারছিলেন না। রোববার প্রতিপক্ষের লোকেরা তাঁদের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষদের ফাঁসাতে নিজের মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন জমির।
মোল্লা মো. শাহীন আরও বলেন, ঘটনার দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর হঠাৎ জমির খাঁ চিৎকার করে বলতে শুরু করেন তাঁর মাকে মেরে ফেলেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রতিপক্ষের তিনজনকে আটক করে। তবে জমিরের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ রাতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন তিনি নিজেই হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় রোববার রাতেই জমিরের বড় ভাই মামলা করেন। গতকাল বিকেলে জমিরকে আদালতে হাজির করা হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, হামলা চালিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙার ঘটনায় প্রতিপক্ষের তিনজনের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন নিহত ব্যক্তির বড় ছেলে জাহাঙ্গীর খাঁ।