মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ১০০ বলে দাবি করছে ক্ষমতাচ্যুত প্রশাসনের ছায়া সরকার। এর মধ্যে অন্তত ৩০ শিশু রয়েছে বলেও জানানো হয়। মঙ্গলবার সাগাইং অঞ্চলের কানবালু পৌর শহরে এ বিমান হামলা চালানো হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওর (এনপিআর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অনুষ্ঠানটি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরোধীদের ছিল। ক্ষমতাসীন জান্তার বিরোধিতাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) এক সদস্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাদের স্থানীয় একটি প্রশাসনিক দপ্তর উদ্বোধনের সময় আয়োজিত অনুষ্ঠানে কয়েকটি যুদ্ধবিমান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়।
এপি বলছে, হামলার পর প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরে দেশটির স্বাধীন মিডিয়ার রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১০০ জনে উন্নীত হয়েছে বলে জানানো হয়। অবশ্য হামলার বিস্তারিত তথ্য স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা অসম্ভব কারণ রিপোর্টিংয়ের বিষয়ে সামরিক সরকারের বিধিনিষেধ রয়েছে।
জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্যের সরকারের (এনইউজি) শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, সেনাবাহিনীর হামলায় শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অনেক নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। এ ঘটনা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
এর আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অংসান সুচি’র নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক জান্তা সরকার। তারপর থেকে দেশটিতে জান্তা বিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়েছে। ক্ষমতা দখলের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০০ বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা সরকার। এরপর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত তিন হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।