সভাপতি রফিক হাওলাদার, সাবেক কমিশনার হারুন অর রশিদসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে সাবেক বিচারপতি আওয়ামী নেতা শামসুদ্দিন মনিকের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় মাসের পর মাস কারাগারে আটক রেখেছে। বারবার জামিন চেয়ে আবেদন করলেও এই মামলায় তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইতিমধ্যে সারা দেশে বিএনপিসহ বিরোধী মতের নেতা-কর্মীদের নামে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৫৪৩টির অধিক মামলা এই অবৈধ সরকার দায়ের করেছেন। আসামির সংখ্যা প্রায় ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮১ অধিক। তার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২ হাজার ৮শত ৩০ এর অধিক ঢাকাতেই ১৫শ’ মামলা ইতিমধ্যে বিরোধী মত ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মুক্ত মতপ্রকাশের মানুষের বিরুদ্ধে করেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশী রায় দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছেন। পুনরায় নতুন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমানসহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে চার্জ গঠন করে সাজা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, লুৎফর জামান বাবর, কাজী সলিমুল হক কামালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও বিএনপি’র জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে সাজা দিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষে বিগত দিনের দায়ের কৃত মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা নতুন করে শুরু করছে। যেমন সাতক্ষীরায় সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি’র প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৮ জন নেতা-কর্মীকে ফরমায়েশি যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। ঈশ্বরদীতেও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান বাবলু, জাকারিয়া পিন্টুসহ প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে আইন মন্ত্রণালয় মামলার তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই সকল হীন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার তথা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশে উদ্ভুদ পরিস্থিতির সকল দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।