এগোচ্ছিল তখনই ম্যাজিক দেখালেন আর্জেন্টাইন ম্যাজিশিয়ান। ৯০+৪ মিনিটে ফ্রি কিক আদায় করে নিয়ে স্বভাবসুলভ শটে কোণার জাল খুঁজে নেন মেসি। লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি আজুল গোলরক্ষক আন্দ্রেস গুদিনো।
সেই গোলের পর গোটা ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে। ফোটানো হয় আতশবাজি। কোচ টাটা মার্টিনোর চেহারায় দেখা দেয় চওড়া হাসি। তবে ইন্টার মিয়ামির কো-ওনার ডেভিড বেকহ্যাম দলের জয়ে বুনো উল্লাস করেননি। আবেগে কেঁদে ফেলেন মাঠে বসেই। ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার হাত ধরে আছেন বেকহ্যাম। আর তার চোখ জোড়া আনন্দ অশ্রুতে ছলছল করছিল।
বেকহ্যাম কাঁদবেনই বা না কেন? নতুন স্বপ্ন নিয়েই যে লিওনেল মেসিকে ইন্টার মিয়ামিতে ভিড়িয়েছেন তিনি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে বরণ করে নিতে নিজে ক্রেনে চড়ে তার ম্যুরাল অঙ্কন করেছেন। আর বেকহ্যামের আস্থার প্রতিদান তো অভিষেকেই দিলেন মেসি। ম্যাচ শেষে ইন্টার বেকহ্যাম জানান, যখন ফ্রি কিক পেলো মিয়ামি, তার বিশ্বাস ছিল মেসি গোল পাবেন।
বেকহ্যাম বলেন, সত্যি বলতে, যখন দেখলাম আমরা ফ্রি কিক পেয়েছি, আমি ভাবছিলাম, এমন সুন্দরভাবেই (গোল) ম্যাচের শেষ হতে পারে।
মেসির সঙ্গে ইন্টার মিয়ামিতে অভিষেক হয় সার্জিও বুসকেটসেরও। বেকহ্যাম বলেন, ‘বিশেষ করে মাঠে যখন মেসি এবং সার্জিওর (বুসকেটস) মতো খেলোয়াড় থাকবে… তারা দেখিয়েছে তারা কী পারে।’
বেকহ্যাম বলেন, আজকের রাতটা আমাদের সমর্থকদের জন্য দারুণ রোমাঞ্চের। তারা সবাই এখানে এসেছে শুধু মেসির অভিষেক দেখতে। তার পারফরম্যান্সও দেখা হয়ে গেলো। সত্যি বলতে, বুসকেটসও দারুণ ছন্দ দেখিয়েছে।
এক মাস আগে ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেয়ার ঘোষণা দেন লিওনেল মেসি। আন্তর্জাতিক বিরতি এবং ছুটি শেষে সদ্যই যোগ দিয়েছেন এমএলএস ক্লাবটিতে। গত ১৬ জুলাই আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় ইন্টার মিয়ামি। তার ৬ দিনের মাথায় চোখ জুড়ানো পারফরম্যান্স দেখালেন মেসি।