কামরান ও পুলিশ গিয়ে তাদের জনতার হাত ধরে উদ্ধার করে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রাখেন।
এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে রাতে হাজারো জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলের সামনে অবস্থান নেয়। এবং অভিযুক্ত দু’জনের শাস্তির দাবি করেন। এ সময় পুলিশ আটক দুই অভিযুক্তকে নিয়ে থানায় আসতে চাইলে জনতা বাধা দেয়।
এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আটক দু’ব্যক্তিকে নিয়ে থানায় চলে আসে। এর আগে জনতা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কেও অবস্থান নিয়েছিলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা রাত ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোতোয়ালি থানার ওসি আলী মো. মাহমুদ জানিয়েছেন- এ ঘটনায় আটক দু’জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রোববার রাতের ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।