ব্রিটেনে মূল্যস্ফীতির হার দ্রুত বেগে কমে গত এক বছরে সর্বনিম্ন হারে এসে দাঁড়িয়েছে। জুলাই মাসের শেষে এসে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬.৮ শতাংশে। জুন মাসে এই হার ছিল ৭.৯ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার কমার কারণ হলো, খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির গতি কমে এসেছে এবং গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য কমেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে ব্রিটেনের মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১১.১ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার কমলেও পণ্য ও সেবার মূল্য এখনও বাড়ছে, তবে কম গতিতে বাড়ছে।
ওয়ালসলের এই দোকান সহ সারা দেশের দোকানপাটে পণ্যের নতুন মূল্য প্রতি সপ্তাহে হালনাগাদ করা হচ্ছে। তবে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমার কারণে অর্থনীতিতে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসার আশা জেগেছে। ওয়ালসালের কনভিনিয়েন্স স্টোর এইচ এন্ড জোডির মালিক হারজিত সিং বললেন, এখনও তিনি তাঁর অনেক কাস্তমারকে জীবনযাপনের ব্যয় নিয়ে ভোগান্তিতে দেখেন। গত বছর তিনি কাস্তমারদের হট ওয়াটার বটল দিয়েছেন বিনা মূল্যে। এবারও হয়তো তাঁকে একই উদ্যোগ নিতে হতে পারে।
স্টকপোর্টের বাসিন্দা লিন। বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটিতে তাঁর মেয়ে এসেছে মায়ের কাছে। ফলে খাবার খরচ বেড়েছে।
নতুন পরিসংখ্যানে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমলেও গত বছরের তুলনায় এখনও প্রায় ১৫ শতাংশ বেশী। এ কারণে লিন সহ ৩৫ হাজার মানুষ দেশব্যাপী নানা ফুড পেনট্রির শাখায় সাশ্রয়ী দামে খাবার কিনতে আসেন। এখান থেকে ১০টি আইটেম কেনা যায় সুপার মার্কেটের অর্ধেক দামে।
রুবি ও রিগেন দুই বোন। সামর্থ্যের মধ্যে কেনাকাটা করতে চেষ্টা করেন তাঁরা।
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কিছুটা কমলেও ঘর ভাড়া এখন রেকর্ড পরিমাণ বেশী। তাই সর্বনিম্ন মজুরিতে কাজ করা রিগেন তাঁর নিজস্ব আর্থিক অবস্থায় কোনো পরিবর্তন দেখেন না।
এদিকে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পাব, ক্লিনার এবং কার ইন্সুরেন্সের মতো সেবা খাতে মজুরী বাড়াতে হয়েছে। এসব বাড়তি খরচের বোঝা শেষ পর্যন্ত বহন করতে হচ্ছে ভোক্তাদের। ফ্লাইটের টিকিটের দামও বাড়ছে। যারা আর্থিক সঙ্গতি না থাকার কারণে বিদেশে যেতে পারছেন না, স্কুল হলিডের এই সময়ে তাদের খরচও বেড়েছে।
কম সচ্ছল পিতা-মাতা আর অভিভাবকদের জন্য ব্রিটেনের রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া স্কুল ছুটির এই মৌসুমে কিছুটা আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।